জয়ের জন্য শেষ বলে প্রয়োজন ৬ রান, আবু জায়েদ রাহীর বলে তৌহিদ হৃদয় ডাউন দা উইকেটে এসে সজোরে হাঁকিয়েও নিতে পারলেন মাত্র ১। এর আগে ব্যাট হাতে একাই লড়ে গেছেন হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) অধিনায়ক; কিন্তু লাভ হলো না। ৯৩* রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেও জেতাতে পারলেন না দলকে। শনিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে খুব কাছে গিয়েও ৫ রানে হেরে গেছে এইচপি। এই জয়ের ফলে চার ম্যাচ সিরিজ ৩-০ তে জিতে গেল ‘এ’ দল।
বৃষ্টি বাধায় শুরু দেরি হয়েছে, বারবার থেমে গেছে ম্যাচ। এরপরও এক জমজমাট ওয়ানডে ম্যাচই দেখা গেল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বিলম্বিত শুরুর পর টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে নির্ধারিত ৪৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওপেনিংয়ে মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলামের ৬৭ রানের জুটির পর কখনোই সেভাবে গতি পায়নি ‘এ’ দলের ইনিংস। স্পিন সহায়ক উইকেটে এইচপি স্পিনারদের বোলিং তোপে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে তারা। সর্বোচ্চ ৪৭ আসে ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। এইচপির পক্ষে হাসান মুরাদ নিয়েছেন ৩০ রানে ৪ উইকেট।
এইচপি দলের ইনিংসের শুরুও বিলম্ব হয় বৃষ্টির খাঁড়ায়। তাদের পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ ওভারে ১৯৪ রান। তবে এই রান করতেই নাভিশ্বাস উঠে যায় এইচপি ব্যাটসম্যানদের। প্রথম বলেই মোসাদ্দেক হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে যান মুনিম শাহরিয়ার। ৩৮ রানেই ৩ উইকেট হারায় এইচপি, যার ৩টিই নেন মোসাদ্দেক। এরপর একপ্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকে ও আরেকপ্রান্তে স্ট্রোকের পসরা সাজাতে থাকেন তৌহিদ হৃদয়; তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন লেজের দিকের ব্যাটসম্যান রেজাউর রহমান রাজা। ৬৫ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও হৃদয় ও রাজা গড়েন ১০১ রানের লড়াকু জুটি; তবে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে পারেননি। ৪৩ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাজা। তখনও জয়ের জন্য লাগে ২৮ রান। ৭৯ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯৩* রান করেন হৃদয়, কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৮ উইকেটে ১৮৯ তে শেষ হয় এইচপির ইনিংস। ‘এ’ দলের পক্ষে মোসাদ্দেক হোসেন ও রাকিবুল হাসান নেন ৩টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ ‘এ’ দল: ৪৪ ওভারে ২২২/৯ (মমিনুল ২৭, সাদমান ৪৭, ইমরুল ৩৭; হাসান মুরাদ ৪/৩০, রেজাউর রহমান ৫৫/২)
এইচপি দল: (ডি/এল মেথডে লক্ষ্য ৩৩ ওভারে ১৯৪) ৩৩ ওভারে ১৮৯/৮ (হৃদয় ৯৩*, রাজা ৩৩, ইমন ১৮; রাকিবুল ৩/২৬, মোসাদ্দেক ৩/২৫)