স্কোরবোর্ডে রান কম হলে যা হয় আর কী! বোলাররা উইকেট তুলতে মরিয়া হয়ে যান, অনেককিছু করার চেষ্টা করেন, সহজ-সাধারণ পরিকল্পনা থেকে সরে যান; মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে তাইজুল ইসলাম-মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাঈম হাসানরা সেটাই করেছেন। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, গ্লেন ফিলিপস এবং মিচেল স্যান্টনার খুব সহজেই ব্যাট করেছেন; নিউজিল্যান্ডকে জিতিয়েছেন ৪ উইকেটে।
ড্যারেল মিচেল যখন আউট হয়েছিলেন, কিউইদের রান ৬ উইকেটে ৬৯ রান। এরপর শত চেষ্টা করেও আর উইকেট ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা, ৭ম উইকেটে ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন ফিলিপস ও স্যান্টনার। স্যান্টনার অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে, প্রথম ইনিংসে ৮৭ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো রান করার আগেই শান্তর হাতে জীবন পাওয়া ফিলিপস শেষ পর্যন্ত করেন অপরাজিত ৪০। ফলে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হলো, বাংলাদেশ হারালো কিউইদের সিরিজ হারানোর সুযোগ।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান করেছিল বাংলাদেশ দল। প্রথম দিনের শেষ বিকেলে টাইগাররাও তুলে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেট, সেটাও ৪৬ রানের মধ্যে। নিউজিল্যান্ড একসময় পরিণত হয় ৭ উইকেটে ৯৭ রানের দল, সেখান থেকে ফিলিপসের কল্যাণে কিউইরা পায় ৮ রানের লিড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো শুরুই পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। এক পর্যায়ে ২ উইকেট হারিয়ে ৭১ রানও তুলে ফেলেছিল। কিন্তু তখন মুমিনুল হক আউট হতেই ছন্দপতনের শুরু। একে একে ২৬ রানের মধ্যে আউট হন মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন দীপু, মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান।
মুহুর্তেই ৭ উইকেটে ৯৭ রানের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ডও প্রথম ইনিংসে ছিল একই অবস্থানে। সেখান থেকে নিউজিল্যান্ড ১৮০ তোলে ফিলিপসের কল্যাণে, জাকির ফিলিপস হতে না পারায় বাংলাদেশ থামে ১৪৪ রানে। নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৭ রান।