অবিশ্বাস্য, ব্যাখ্যাতীত, অকল্পনীয়; এই ধাঁচের যতগুলো বিশেষণ আপনার জানা আছে, চাইলে সবই ব্যবহার করতে পারেন; ঘটনা যা, আক্ষরিক অর্থেই চোখ কপালে তোলার মতো। প্রায় বিশ বছর পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ম্যাচ হেরেছে জার্মানি, তাও আবার নর্থ মেসিডোনিয়ার সাথে এবং নিজেদের মাঠে। ২-১ গোলের জয়টা নর্থ মেসিডোনিয়ার ফুটবল ইতিহাসেরই সবচেয়ে বড় অর্জন।
ওপরের ছবিতে যাকে গোল করতে দেখছেন তিন এলি এলমাস। নামটা আপনার পরিচিত সেই সম্ভাবনা প্রায় শূণ্যের কোটায়। অথচ তুরস্কে জন্ম নেয়া মিডফিল্ডারের গোলেই হেরেছে জার্মানি। ১৯৮৫ সালে পর্তুগাল আর ২০০১ সালে ইংল্যান্ডের সাথে ৫-১ গোলে হার, গেল ৩৬ বছরে এই দুটোই ছিলো বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জার্মানির হারের ঘটনা। ইতিহাসের তৃতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে “মাইটি জার্মানদের” হারিয়েছে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৬৫তম নর্থ মেসিডোনিয়া। নাপোলি মিডফিল্ডার এলমাসের গোলটা ৮৫ মিনিটে।
প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন ছিলো জার্মানদের দখলে। প্রথমার্ধে ৭০ ভাগ বল দখলে রাখা জার্মানির বড় সুযোগটা হাতছাড়া হয় যখন লিওন গোরৎসকার শট ক্রসবারে লাগে। স্বাগতিকরা সুযোগ হাতছাড়া করলেও প্রথম সুযোগেই গোল করে নর্থ মেসিডোনিয়া। প্রধমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে বক্সের ভেতরে “আনমার্কড” গোরান পানদেভ প্রথম সুযোগেই করেন বাজিমাত, কাকতালীয়ভাবে ৩৭ বছর বয়সী পানদেভের গোলটা তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সাঁইত্রিশতম!!
৬৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জার্মানদের সমতায় ফেরান ইলকায় গুন্ডোগান, তারপর মেসিডোনিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দেয় জার্মানি, তাতে সুযোগও তৈরী হয়েছিলো। ম্যাচে জেতার দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন টিমো ভার্নার যখন বাকি প্রায় দশ মিনিট। তার ৫ মিনিট পরেই নর্থ মেসিডোনিয়াকে ম্যাচ জেতানো গোল উপহার দেন এলি এলমাস।
“জে” গ্রুপে জার্মানির সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে দ্বিতীয়স্থানে নর্থ মেসিডোনিয়া। টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট পাওয়া আর্মেনিয়া গ্রুপের শীর্ষে।