নিউজিল্যান্ড সিরিজে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি। তার আগে জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন দলের বাইরে। নিজেকে ফিরে পেতে ছোটবেলার গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিমের শরণাপন্ন হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ প্র্যাকটিসের জন্য খেলেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এইচপি দলের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে ম্যাচেও; করেছেন জোড়া ফিফটি।
শুক্রবার ‘হাউজ্যাট: মুশি দ্য ডিপেন্ডেবল’ নামের একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বকাপের আগে গুরুর দীক্ষা ও প্রতিযোগিতামূক ম্যাচে ব্যাট হাতে রানে ফেরার আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথা বলেছেন মুশফিকুর রহিম। জানিয়েছেন, কিছু কিছু বিষয়ের জন্য তাঁর ভরসা শুধুই ‘ফাহিম স্যার’।
“ফাহিম স্যারের সাথে সবসময়ই কথা হয়। স্যার আমাদের দলের বাকি সদস্যদের ব্যাপারেও অনেককিছুই জানেন। তবে আমার কিছু সমস্যা আছে যা শুধু আমি আর ফাহিম স্যারই জানি। সেগুলো নিয়েই কাজ করেছি। আর এমনিতে স্ট্রাইক রেট বাড়ানো, রেঞ্জ হিটিং নিয়ে কাজ করা হয়েছে। এই দুটা অবশ্য গোটা দলেরই দরকার, তবে আমি যাতে বাকি সবার চেয়ে একটু এগিয়ে থাকতে পারি সেজন্য এগুলো নিয়ে কাজ করেছি”- বলেছেন মুশফিক
নিউজিল্যান্ড সিরিজের পরে ও বিশ্বকাপের আগে ব্যাট হাতে রানে ফেরাটা খুব দরকারি ছিল মিঃ ডিপেন্ডেবলের জন্য। সেজন্য চট্টগ্রামে গিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এইচপি দলের বিপক্ষে খেলেছেন দুটো ওয়ানডে ম্যাচ। যথাক্রমে ৭০* ও ৬২ রান করে দুটি ম্যাচই জেতাতে রেখেছেন অবদান। ব্যাটে রান আসায় একটু কি চিন্তামুক্ত হয়েছেন মুশফিক? জবাবে মুশফিক বলেছেন, ঘরোয়া ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের বিপক্ষে ‘ম্যাচ প্র্যাকটিস’ করার সুযোগ অনেক কাজে এসেছে তাঁর।
“রান করা না করা খুব বেশি দুঃশ্চিন্তা আমার কখনোই ছিলনা। আমার শুধু ইচ্ছা ছিল যেন আমি ম্যাচের ভিতরে থাকতে পারি। কারণ আমি নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে শেষ খেলেছি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে। আপনি যতই বলুন, একা একা প্র্যাকটিস করলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি হয়না। এইচপি দলে আমাদের পাইপলাইন ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ট্যালেন্টেড ছেলেরা আছে। চেষ্টা করছিলাম ওদের বিপক্ষে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের প্রেক্ষাপট যাতে তৈরি হয়, যাতে প্রেশার থাকে এবং আমি সে অনুযায়ী খেলতে পারি। এবং আমি সেটা পেরেছি, যা বিশ্বকাপে আমার কাজে আসবে। বিসিবিকে ধন্যবাদ এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য”