ভারতকে একাই সিরিজ হারিয়েছেন। লাইম লাইট কেড়ে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিণত হয়েছিলেন আতঙ্কে। পরে অবশ্য নিয়মিতই খেই হারিয়েছেন; পিছিয়ে পড়েছেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম্যান্স যেমনই হোক ওয়ানডে পারফর্ম্যান্সে এসেছে পরিবর্তন। যেমনটা এসেছিলো বিশ্বকাপ দিয়ে টী-টোয়েন্টি পারফর্ম্যান্সে।
শেষবার ভারত যখন বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছিলো; মুস্তাফিজ একাই সিরিজ হারিয়ে দিয়েছিলেন তাদের। দেশের মাটিতে পারফর্ম্যান্স ফিজের হয়ে কথা বলে। তার ওপর দলটার নাম ভারত। আর এজন্যই বোলিং আক্রমনে এই বাঁহাতির ওপরই টাইগারদের প্রত্যাশার মাত্রা এবার অনেক বেশি।
চলতি বছর ওয়ানডে খেলেছেন ১১ ম্যাচ। উইকেট নিয়েছেন ১২টা; যার ৮টাই খেলেছেন দেশের বাইরে। সাউথ আফ্রিকায় তিন ইনিংস সহ টানা চার ইনিংস ছিলেন উইকেট লেস। পুরো বছরে এমনটা হয়েছে পাঁচবার।
প্রতিপক্ষ যখন ভারত তখন চাপও বেশি। ফর্মে ফিরতে শুরু করেছে, সেটা ধরে রাখার পাশাপাশি ভারতের বিপক্ষে স্বর্ণালী অতীত। সব মিলিয়ে এই পেসারের চাপও বেশি।
৫০ ওভারের ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে প্রথম দুই ইনিংসে এগারো উইকেট। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিন বার। প্রথম দেখায় যেমন পাঁচ উইকেট ছিলো, তেমনি সবশেষ দেখাতেও ছিলো। গড় স্ট্রাইক রেট ঈর্ষনীয়।
ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজ আইসিসি সুপার লিগের অংশ না। তবে সেখানে বেশ ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। তবে এই সিরিজ জিতলে নিসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়বে দুঃসময় পার করা টাইগারদের। তবে এর পাশাপাশি মুস্তাফিজ পুরোদমে ফর্মে ফিরলে সেটা হবে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য সবচাইতে বড় পাওয়া।