২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

তবুও প্রাপ্তি খুঁজছেন মুমিনুল

- Advertisement -

সিরিজের পর সিরিজ যায়, ম্যাচের পর ম্যাচ। হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও শেখার শেষ হয় না বাংলাদেশ দলের। প্রতিটা ম্যাচ হারার পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের একটাই জবাব, ‘ আমরা শিখছি!’ ঠিক যেন পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন কমন পড়লে যেভাবে উত্তর করেন শিক্ষার্থীরা, একেবারে গদবাঁধা উত্তর।

পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত খেলার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই বের হয়ে গেছে থলের বিড়াল। বেরিয়ে পড়েছে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের আসল চেহারা। এক অখ্যাত বাঁহাতি স্পিনারেই নাস্তানাবুদ টাইগাররা।  ২০৯ রানের হেরেছে বাংলাদেশ। প্রতিবার কোনো সিরিজ হারের পর সেখান থেকেই প্রাপ্তি খুজে নেওয়া বাংলাদেশের নিত্য অভ্যাস। যেন অনেকটা ঐ শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। একটা দুইটা ব্যাক্তিগত পারফর্ম্যান্স দিয়ে দলীয় ব্যর্থতাকে  আড়াল করা, এটাই যেন রুটিন কাজ।

ছবিঃ এসএলসি
ছবিঃ এসএলসি

‘অবশ্যই প্রাপ্তির কিছু না কিছু আছে। আমি সিরিজ হেরেছি এর মানে এই না যে সব কিছু হেরে গিয়েছি। হয়তো আমি জানি একটু সমালোচনা হবে, অনেকেই অনেক কথা বলবে। এর ভেতরেও অনেক ইতিবাচক দিক আছে আমার কাছে মনে হয়।  আমার কাছে মনে হয় প্রথম টেস্টে আমরা দল হিসেবে খেলতে পেরেছি। আমরা তখনই ভালো খেলি যখন আমরা দলগতভাবে খেলতে পারি। দলের সবাই যখন অবদান রাখে তখন আমরা দল হিসেবে ভালো করতে পারি।‘

প্রথম টেস্টে আশা দেখিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন। দুই টেস্ট মিলে নিয়েছেন আট উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল ইসলা্মের শিকার পাঁচ উইকেট, অধিনায়কের প্রাপ্তি ওই ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সেই।

ছবিঃ এসএলসি
ছবিঃ এসএলসি

‘আমার কাছে মনে হয় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনারাও হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন এবার কোন পেসার কি কিছু করতে পারছে কিনা, সেই হিসেবে তাসকিনকে দেখেছেন। আগের চেয়ে অনেক ভালো এখন। অনেক উন্নতি করেছে। আমার কাছে মনে হয় অনেক ইতিবাচক দিক আছে এই টেস্ট সিরিজে।’

স্বাভাবিকভাবেই যখন ফলাফল  পক্ষে যায় না, তখন কিছু ছোট ছোট প্রাপ্তি আর টুকরো টুকরো পার্ফরম্যান্সকে সম্বল করেই  বাঁচে মানুষ, আমরাও কি সেভাবেই বাঁচি? হয়তো তাই।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img