উট্রেক্টে ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগে আয়ারল্যান্ড বনাম নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় পেয়েছে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডস। শেষ বলের নাটকীয়তায় ১ রানের জয় নেদারল্যান্ডসের। এ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ডাচরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক নেদারল্যান্ডস। দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে স্বাগতিকদের। স্টিফেন মাইবার্গকে হারানো স্বাগতিকরা পুরো ইনিংসেই ধুকেছে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহ স্বপ্ন ভেস্তে গেছে।
ছোট-ছোট কিছু ইনিংসে ভর করে দুইশর কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে ডাচরা। সর্বোচ্চ ৪৯ রান এসেছে ভ্যান ডার গাগটেনের ব্যাট থেকে। আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রেইগ ইয়ং এবং জশ লিটল। স্বাগতিকদের ইনিংস থামে ১৯৫ রানে।
১৯৬ রানের টার্গেটে যখন ব্যাটিং করতে নেমেছিল আয়ারল্যান্ড, মনে হয়েছিল খুব সহজেই অতিক্রম করে ফেলবে স্টার্লিংরা। কিন্ত গৌরবময় অনিশ্চিয়তার খেলা ক্রিকেট কতকিছুই না দেখায়। তিন ওভারের মধ্যে ১১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে আয়ারল্যান্ড। ডকরেলকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন স্টারলিং, ৬৯ রানেই দলের অর্ধেক ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে দেখেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের জয় তখন মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। তখনই সিমি সিংকে পাশে পেলেন স্টার্লিং, দুজনে মিলে গড়লেন ৬৬ রানের জুটি। ৬৯ রান করা স্টার্লিংকে ফেরান গাগটেন।
স্টার্লিং আউট হয়ে গেলেও একপ্রান্তে লড়েন সিমি। ৩ ওভারে তখন আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন ১৭। ক্লাসেন আর ভ্যান ভিকের দুই ওভার থেকে আসে মাত্র ৫ রান । জিততে হলে শেষ ওভারে মেলাতে হতো ১২ রানের সমীকরণ, স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখতে দুই রানের জন্য দৌড়ান সিমি সিং। কিন্ত রানআউটের ফাঁদে পড়লেন। যদিও এক্ষেত্রে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন, পপিং ক্রিজের দাগ অতিক্রম করলে ব্যাট শুন্যে থাকায় আউটের সিদ্ধান্ত দিতে বাধ্য হন টিভি আম্পায়ার। লিটলের বাউন্ডারি আশার পালে হাওয়াই লাগিয়েছে শুধু। শেষ বলে ৩ রানের সমীকরণ মেলাতে না পেরে পরাজয় বরণ করে নেয় আয়ারল্যান্ড। নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট অধিনায়ক পিটার সেলারের। ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে ম্যাচসেরা গুগটান।