ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় বৃহস্পতিবার মিরপুরে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। বিকেএসপিতে দুই শীর্ষ দলের লড়াইয়ে জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। টেবিল টপ প্রাইম ধলেশ্বরকে ৩ রানে হারিয়ে শীর্ষে এখন তামিমরা। অন্য ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছে শেখ জামাল । পারটেক্সের বিপক্ষে তাদের জয় ৬ উইকেটে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে ওল্ড ডিওএইচএস। দলীয় ১৫ রানেই ২ উইকেট হারানো দলটার ব্যাটসম্যানরা বাকিটা সময় ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। একমাত্র ব্যতিক্রম মাহমুদুল হাসান জয়। একপ্রান্তে এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ছিলেন অবিচল। গাজী গ্রুপের অভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপের ওপর ছক্কার বৃষ্টি নামিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৭ ছক্কায় ৫৫ বলে জয়ের সংগ্রহ অপরাজিত ৮৫ । নির্ধারিত ২০ ওভারে ওল্ড ডিওএইচএসের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৩৬ । নাসুমের শিকার ২উইকেট। ১৩৭ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতোই দারুন শুরু এনে দেন গাজী গ্রূপের শেখ মেহেদী হাসান। ৯ বলে তার সংগ্রহ ২২। অপর প্রান্তে ইনফর্ম সৌম্য সরকার ছিলেন সাবলীল। সৌম্য ফেরেন ৩৭ করে, মুমিনুল করেন ২৭। গাজী গ্রূপের জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইয়াসির রাব্বি।
টস জিতে বোলিং করতে নেমে পারটেক্সের উপর রীতিমতো বোমা হামলা চালান শেখ জামালের পেস বোলার সালাউদ্দিন শাকিল। তার ৫ উইকেটে পারটেক্স অলআউট হয় ১০৪ রানে। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন আব্বাস মুসা। শাকিল ১৬ রানের বিনিময়ে ৫টি ও সানি ১৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শেখ জামাল হারায় সৈকত আলীকে। কিছুক্ষন পর ফিরে যান মোহাম্মদ আশরাফুলও। ২২ রান করে ফেরেন নাসির হোসেনও। চতুর্থ উইকেটে ইলিয়াস সানি এবং নুরুল হাসানের জুটিতে দুই ওভার হাতে রেখেই জয় পায় শেখ জামাল।
টস জিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় । তবে ইনিংসের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি প্রাইম ব্যাংকের। প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগে ফেরেন রনি তালুকদার, ৮ রান করে সাজঘরে ফিরেন তামিমও। এরপর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন দলীয় অধিনায়ক এনামুল ও মিঠুন। ১৮ বলে ২৯ রান করে এনামুল ফিরলেও ঠিকই অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন মিঠুন। ৫৫ রান করে ফেরেন মিঠুন, দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেওয়ার দায়িত্ব নেন অলক কাপালি। তার ১৪ বলে ২৬ রানের উপর ভর করে প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ ১৫১। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধুকতে থাকে ধলেশ্বর। ওপেনার ইমরানউজ্জমানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান, অন্য ওপেনার সাইফকে ফেরান রুবেল। হাত খুলে খেলতে পারেননি ফজলে রাব্বি এবং মার্শাল আইয়ুবও। যার কৃতিত্ব বাঁহাতি পেসার শরিফুলের। চার ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন দুটি উইকেট। সকল স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও বোলার কামুরুল ইসলাম রাব্বি শেষদিকে ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখিয়েছেন । অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ৩৮ রান করে। রুবেলের করা শেষ ওভারে জয়ের জন্য ধলেশ্বরের দরকার ছিল ৩১ রান। কাম্রুল ৪ ছক্কায় নেন ২৭ রান। শেষ বলে ৫ রান প্রয়োজন হলে কামরুল নিতে পারেন শুধুই একটা সিঙ্গেল। ফলে ৩ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ধলেশ্বর।