হারারে টেস্টের প্রথম দিন, শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের রান তখন ৭ উইকেটে ২৭০; ডোনাল্ড তিরিপানোর হ্যাটট্রিক বল বেশ সাবলিলভাবেই মোকাবেলা করেছেন তাসকিন। তখনও কি বোঝা গিয়েছিল, পরিসংখ্যান বিবেচনায় ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটাই খেলতে যাচ্ছেন এই পেসার? প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাসকিনের ব্যক্তিগত রান ৭৫।
এই ইনিংসের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তাসকিনের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৩৩, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। হারারেতে তাসকিন ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেও। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণেই তাসকিনের এই ইনিংস তার ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয় ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক; এই ইনিংসের আগে সব ঘরনার ক্রিকেটেই তাসকিন আহমেদের গড় ছিল দশের কম।
ক্রিকেট ভিন্ন সংস্করণে হারারে টেস্টের আগে তাসকিনের গড়:
টেস্ট | ৬.৭৫ |
ওয়ানডে | ৪.৬১ |
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি | ৮.৫০ |
প্রথম শ্রেণি | ৯.৯৬ |
লিস্ট এ | ৯.৯৬ |
টি-টিয়েন্টি | ৫.৯০ |
নিজের জন্যই না, তাসকিন আহমেদের ইনিংস দলের জন্যও ছিল সমান গুরুত্বপূর্ণ। মাহমুদুউল্লাহ্ রিয়াদের সাথে তার জুটি হারারেতে নবম উইকেটে সর্বোচ্চ। তামিম ইকবাল খেলছেন না, মুশফিকুর রহিম আর সাকিব আল হাসান ছিলেন ব্যর্থ। তবুও চারজন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান পেয়েছেন ফিফটির দেখা। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার। প্রথমবার ২০০৫ সালে, যখন বর্তমান দলের কারোরই অভিষেক হয়নি।