২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

মেসিকে কোপা জিততে দিবেননা নেইমার

- Advertisement -

রোববার ১১জুলাই বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায় সুপার ক্ল্যাসিকোতে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল। মাঠের বাইরে লিওনেল মেসির সঙ্গে নেইমারের দারুন বন্ধুত্বের কথা সবাই জানে। তবে চির প্রতিদ্বন্দী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালে সেই মেসিকেই হারাতে চান নেইমার। ব্রাজিলের টিএনটি স্পোর্টসের কাছে ফাইনাল নিয়ে নিজের ভাবনা খোলামেলাভাবেই জানিয়েছেন ব্রাজিল তারকা।

চলতি কোপায় দুর্দান্ত ফর্মে আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। লিওনেল মেসির সঙ্গে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টসেরার দৌড়েও আছেন। তবে সবাইকে ছাঁপিয়ে গেছেন লিওনেল মেসি। চার গোলের সঙ্গে পাঁচ অ্যাসিস্ট নিয়ে অসাধারণ একটা আসর কাটাচ্ছেন আর্জেন্টাইন প্রাণভোমরা। চির প্রতিদ্বন্দী দেশের দুই তারকাই দেশের হয়ে নিজেদের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছেন।

কোপার সর্বশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। তবে ইনজুরির কারনে সেবার খেলা হয়নি নেইমারের। তাই জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা এখনও অধরাই রয়ে গেছে। সেই শিরোপাখরাই এবার ঘোচাতে চান নেইমার। শিরোপা খরা ঘোচাতে হলে পেরোতে হবে মেসি বাধা। লিওনেল মেসির সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ এবং খুবই কাছের বন্ধু নেইমার জানিয়েছেন মাঠের বাইরে বন্ধু হলেও মাঠে কোনো ধরনের ছাড় দেবেননা তিনি। যেকোনো মুল্যেই জিততে চান তিনি।

“ আমি সবসময়ই বলি, আমার দেখা সেরা ফুটবলার মেসি। সে দারুন বন্ধুও। তবে এখন আমরা ফাইনালে, আর আমরা এখন প্রতিদ্বন্দী। আমি আসলেই শিরোপাটা জিততে চাই, যেটা হতে চলেছে আমার প্রথম কোপা আমেরিকা শিরোপা।“

যতই ভালো বন্ধুত্ব থাকুক, ফাইনালে মেসিকে আরেকবার কাঁদাতে চান নেইমার। কথার পেছনে যুক্তিও দাঁড়া করিয়েছেন।

“ যখন আপনার কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে, তখন সেই বন্ধুত্ব ভুলে থাকা খুবই কঠিন। তবে উদাহরণস্বরুপ আপনি যখন আপনার বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও গেমস খেলবেন, আপনি কিন্ত যেকোনো মুল্যেই তাকে হারাতে চাইবেন। আমিও ফাইনালে সেটাই করতে চাই। “

লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের একমাত্র আক্ষেপ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে কখনোই কোনো শিরোপা না জেতা। এর আগে তিনবার ফাইনালে পৌছেও শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়েছেন মেসি। প্রতিবারই নেইমার চেয়েছিলেন মেসির হাতে শিরোপা উঠুক, প্রতিবারই মেসির জন্য উতসব করেছিলেন। তবে এবার করবেন না নিশ্চয়ই। টিএনটি স্পোর্টসের কাছে সেই গল্পই করেছেন নেইমার।

“ অনেক বছর ধরেই মেসি তার ক্যারিয়ারের প্রথন শিরোপার জন্য মুখিয়ে আছে, কোনোবারই ফাইনালে আমরা একে অপরের প্রতিপক্ষ ছিলাম না। আমি মেসির জন্য উত্তেজনা অনুভব করেছি, তার জন্য গলা ফাটিয়েছি। সেভাবেই সে যখন জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামল ২০১৪ ফাইনালে, আমি তার সমর্থন করেছি, তার জয় কামনা করেছি।“

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img