ভারত-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দুই বল হাতে রেখেই সফররতদের ৪ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ফলে ১-১ ব্যবধানে সিরিজে সমতা আনলো ধনঞ্জয় ডি সিলভারা।
India made it tough for them, but Sri Lanka held their nerves and kept the series alive#SLvIND
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) July 28, 2021
ভারত-শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মাঠে গড়ানোর কথা ছিল মঙ্গলবার। তবে ক্রুনাল পান্ডিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ায় একদিন পিছিয়ে বুধবার মাঠে গড়ালো শ্রীলঙ্কা বনাম ভারতের মধ্যকার ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ক্রুনাল পান্ডিয়ার সংস্পর্শে আসায় ৮ ক্রিকেটার খেলার অনুমতি পাননি। একেই তো দ্বিতীয়সারির দল, তার উপরে প্রথম একাদশের খেলোয়াড়দের না পাওয়ায় একেবারে দুর্বল দল নিয়ে মাঠে নামতে হয় ভারতীয় অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে। অভিষিক্ত হয়েছেন চারজন ক্রিকেটার, তিন ব্যাটসম্যান দেবদূত পাড়িকল, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, নীতিশ রানা আর পেসার চেতন সাকারিয়া। নতুন ৫ জনকে দলে ভেড়ালেও মূল একাদশে রাখা হয়নি কাউকে। শ্রীলঙ্কা দলেও ছিল দুটি পরিবর্তন, সাদিরা সামারাবিক্রমা এবং অভিষিক্ত রমেশ মেন্ডিস।
টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তবে তার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করেন দুই ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। পাওয়ারপ্লেতে দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৪৫ রান। ৭ম ওভারের শেষ বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাবার আগে গায়কোয়াড় করেন ২১ রান।প্রথম উইকেট হারানোর পরই নেমে আসে বিপর্যয়, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ধাওয়ানের ৪২ বলে খেলা ৪০ রান এবং অভিষিক্ত পাড়িকলের ২৩ বলে ২৯ রানের সুবাদে শেষপর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রানে গিয়ে থামে ভারতীয় দলের ইনিংস। শ্রীলঙ্কানদের পক্ষে আকিলা ধনন্জয়া নিয়েছেন ২টি উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয়েছে তাদের বোলিংয়ের মতোই, একটু নাজেহাল। ১২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর পাওয়ারপ্লে শেষে রানটা সেই এক উইকেটে ৩৬। শ্রীলঙ্কা নিজেদেরকে গুছিয়ে নিয়েছে, এমনটাই যখন মনে হচ্ছিল তখনই আবারও ছন্দপতন ঘটে স্বাগতিকদের। ৬৬ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে আরো ৩ টি উইকেট। এরমধ্যে ছিল ওপেনার ভানুকার উইকেট। কুলদীপ যাদবের বলে রাহুল চাহারের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হবার পূর্বে খেলেছেন ৩১ বলে ৩৬ রানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। এরপরে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ধনন্জয় ডি সিলভা এবং হাসারাঙ্গা। কিন্তু ১১ বলে ১৫ রান তুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান হাসারাঙ্গাও। অভিষিক্ত রমেশ মেন্ডিসও ফিরে যান মাত্র ২ রান করেই। আশার প্রদীপ হয়ে তখনও ক্রিজে লড়ে যাচ্ছিলেন ধনন্জয়া ডি সিলভা।
১২ বলে যখন ২০ রানের প্রয়োজন, ঠিক তখনই বৃষ্টি নেমে এলে কিছু মুহুর্তের জন্য খেলা হওয়া নিয়ে দেখা দেয় সংশয়। কিন্তু সকল সংশয় দূর করে খেলা চলতেই থাকে। ১৯ তম ওভারে ভুবেনশ্বরের করা তিন নাম্বার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটাকে রোমাঞ্চকর করে তোলে চামিকা করুনারত্নে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের যখন প্রয়োজন ৬ বলে ৮ রান, তখন ভারতীয় অধিনায়ক বল তুলে দেন অভিষিক্ত সাকারিয়ার হাতে। কিন্তু শেষ অব্দি ২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। ৩৪ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন ধনন্জয়া, ৬ বলে ১২ করেন চামিকা করুনারত্নে। ভারতীয় দলের হয়ে কুলদীপ যাদব নেন ২ টি উইকেট। ১ টি করে উইকেন নেন ভুবেনেশ্বর, চাহার, বরুন এবং সাকারিয়া। ম্যাচসেরা হয়েছেন ধনন্জয়া ডি সিলভা।