আগামী ৩ আগষ্ট থেকে মাঠে গড়াতে চলেছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মিরপুর সরগরম, মাঠের উইকেট নিয়েও হচ্ছে আলোচনা। কিন্তু আসন্ন সিরিজে মাঠে প্রবেশই করতে পারবেন না শেরে-বাংলার প্রধান পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা। এমনকি মিরপুরে পৃথক বলয়ে থাকা মাঠকর্মীদের সংস্পর্শে আসতেও পারবেন না তিনি।
চার বছর পর অজিদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মাঠে নামার অপেক্ষা টাইগারদের। প্রতিটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। বৃহস্পতিবার দেশে এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সব ঠিক থাকলে একই দিন বিকেলে বাংলাদেশে পৌছানোর কথা অজিদের।
মিরপুরে বেশকিছুদিন কোনো খেলা না থাকায় গামিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন নিজ দেশ শ্রীলঙ্কায়। সিরিজ সংশ্লিষ্ট সবার অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য ২১ জুলাই থেকে কোয়ারেন্টিন পালনের কথা থাকলেও গামিনি দেশে এসে পৌঁছেছেন ২৮ জুলাই। এজন্যই মূলত তার ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ। তবুও গতকাল দেশে ফিরেই মাঠে গিয়েছিলেন গামিনি। পরবর্তীতে এই নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি গণমাধ্যমকে পরিস্কার করেছেন বিসিবির অবস্থান।
“ওনার ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিল নিজ চোখে উইকেট দেখে যাওয়ার। উনি নিজের গাড়িতে করে এসে উন্মুক্ত জায়গা দিয়েই উইকেটের কাছে গিয়েছিলেন। ওনার সংস্পর্শেও কেউ ছিলেন না। উইকেট দেখে উনি বাসায়ও চলে গেছেন। আর আসবেনও (অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সময়) না। কারণ তিনি বাবলের অন্তর্ভুক্ত নন। উইকেট দেখে যেতে পেরেছেন বলে এখন থেকে নির্দেশনা যা দেওয়ার, তা ফোনে ফোনেই দিতে পারবেন“-গণমাধ্যমকে দেবাশীষ চৌধুরী
মাঠে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়ারেরা উপস্থিত থাকলে গামিনিকে পিচ বিষয়ক পরামর্শ দিতে হবে নিজের কক্ষ থেকেই, ভিডিও কলের মাধ্যমে। অনিবার্য কারণবশত যদি পিচ দেখতেও হয়, তাহলে কমপক্ষে ৫ মিটার দূর থেকেই দেখে আসতে হবে গামিনিকে। এবিষয়ে খুটিনাটি জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জৈব সুরক্ষা বলয়ের প্রধান সমন্বয়ক দেবাশীষ চৌধুরী ।
“গামিনি মিরপুরেই অবস্থান করবে, কিন্তু মাঠে প্রবেশে বিধিনিষেধ থাকবে। এমনকি তার গ্রাউন্ডসম্যানদের সঙ্গেও সে ক্লোজ কন্টাক্টে আসতে পারবে না। যদি বিশেষ কারণে প্রবেশ করাও লাগে তাহলে কমপক্ষে ৫ মিটার দূরে থাকতে হবে। খেলোয়াড়রা মাঠে থাকলে প্রয়োজনে ভিডিওকলে নির্দেশনা দিবে, তবুও মাঠে ঢুকতে পারবে না। যথাসময়ে বায়োবাবলে প্রবেশ না করার কারণেই তাকে এই বিধিনিষেধে পড়তে হল”