ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম। টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন হিউন-মিন-সন। রোববারের ম্যাচে হ্যারি কেইনের অনুপস্থিতও স্পারদের জয় আটকাতে পারেনি।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের ওপর দখল বেশি ছিল সিটির। খেলার ৫ম মিনিটেই পেয়ে যেতে পারতো গোলও; ফেরনান্দিনিওর হেড করা বলটা গোলপোস্টের সাইড দিয়েই চলে না গেলে ম্যাচের শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারতো পেপ গার্দিওলার দল। এরপর রিয়াদ মাহরেজ, রাহিম স্টার্লিংরা বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করলেও তা আঁটকে যায় টটেনহ্যামের রক্ষণভাগেই। ৪০ মিনিটে টটেনহ্যামও কাউন্টার অ্যাটাক থেকে দারুণ একটা সুযোগ তৈরী করে, কিন্তু হিউন-মিন-সনের নেয়া ডান পায়ের শটটি গোলপোস্টের সাইড দিয়েই বেড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধ শেষে দুই দলের কেউই গোলের দেখা না পেলেও, বল পজিশনে বেশ এগিয়ে ম্যানসিটি (৬৮%)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বদলে যায় টটেনহ্যামের খেলা; আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে মউরা-সনরা। ৪৭তম মিনিটে দ্যালে আলির বাড়ানো বলে জোড়ালো শট নেন পিয়েরে-এমিলে; কিন্তু তা ভেদ করতে পারেনি ম্যানসিটির দুর্গ। ৪৯তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া লুকাস মউরার শটটিও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি ম্যানসিটি গোলপোস্ট। ৫২ মিনিটে পাল্টা আক্রমনে যায় সিটি, কিন্তু ফেরনান্দিনিওর নেয়া শটটিও এগিয়ে নিতে পারেনি বর্তমান চাম্পিয়নদের। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ৫৫ মিনিটে গোলের দেখা পেয়ে যায় টটেনহ্যাম। বক্সের বাইরে থেকে নেয়া হিউন-মিন-সনের বাম পায়ের শটটি রুখতে ব্যর্থ হন ম্যানসিটি গোলরক্ষক এডারসন; টটেনহ্যাম এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
এরপর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সিটি; ৬০ মিনিটে পেয়ে যায় দুর্দান্ত সুযোগও। কিন্তু স্টিভেন বারউইন গোল আদায় করে নিতে ব্যর্থ হোন। ৭৫ মিনিটে আরও একবার আক্রমনে যায় সিটি; ফেরান তোরেসের বাড়ানো বল জ্যাক গ্রেলিস পায়ে পৌছায়, কিন্তু তার নেয়া শটটি রুখে দেন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক হুগো লরিস; ৮৬ মিনিটে ফেরান তোরেসের নেয়া শটটিও রুখে দেন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা সিটি বাকি সময়ে আর গোলের দেখা পায়নি। নির্ধারিত সময় শেষে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টটেনহ্যাম।