ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে মঙ্গলবার রাতে ৩-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ; ঘরে তুলেছে সুপার কাপের শিরোপা। বায়ার্নের হয়ে তিনটি গোলেই ছিল রবার্ট লেভানডফস্কির অবদান। দুইটি গোল নিজে করেছেন, একটিতে থমাস মুলারকে করেছেন সহযোগিতা।
ম্যাচের শুরুতেই সাবেক জার্মান কিংবদন্তি গার্ড মুলারের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করে পুরো স্টেডিয়াম; নীরবতা শেষে মুলারের ৯ নাম্বার জার্সিটা তুলে ধরেন ৩২ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকার, রবার্ট লেভানডফস্কি। এর আগে ওয়ার্ম আপের সময় বায়ার্নের সকল খেলোয়াড়রাই মুলারের ৯ নাম্বার জার্সিটা গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামে।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের খেলাটাকে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে দুই দল। ১৪ মিনিটে থমাস মুলার পেয়ে যান গোলের সুযোগও, কিন্তু তার নেয়া শটটা ডর্টমুন্ড গোলপোস্টের ডান সাইড দিয়েই বেড়িয়ে যায়। ১৫তম মিনিটে সার্জ গ্যানাব্রির এসিস্ট করা বলটাকে একদম ফাঁকায় পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন কিংসলে কোমান; আট গজ দূর থেকে গোলপোস্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন ফরাসি মিডফিল্ডার। ২০তম মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরী করে ডর্টমুন্ড; মার্কো রয়েস বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নুয়্যারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। রয়েসের নেয়া শটটি বায়ার্ন গোলরক্ষকের পা লেগেই বেড়িয়ে যায়। ৩৪তম মিনিটে গোলের সবচেয়ে সেরা সুযোগটা পেয়ে যায় বায়ার্ন; থমাস মুলার এবং লেভানডফস্কির নেয়া দুইটি শটই গিয়ে লাগে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে।
ম্যাচের ৪১তম মিনিটে দুর্দান্ত এক হেড করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন লেভানডফস্কি। প্রথমার্ধ শেষে বায়ার্ন এক গোলে এগিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯তম মিনিটেই বায়ার্ন মিউনিখ পেয়ে যায় দ্বিতীয় গোলের দেখাও; গোলরক্ষককে এগিয়ে আসতে দেখে লেভানডফস্কি ব্যাক হিল করেন এবং বলটা পেয়ে যখন মুলার গোল করছেন তখন সেখানে ছিল না ডর্টমুন্ড গোলকিপারও। ৫৪তম মিনিটেই গোলকিপারকে একা পেয়ে গোল করেন হালান্ড, কিন্তু সেটা অফসাইড ষোষণা করেন রেফারি। এর আগেও ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডর্টমুন্ডের হয়ে আরেকটি গোল করেছিলেন মউকোকো; কিন্তু সেটাও অফসাইড ঘোষণা করে দেন রেফারি। বায়ার্নের জালে দুইবার বল জড়ালেও তাই গোলশুন্যই থাকতে হচ্ছে হালান্ডদের।
অবশেষে ৬৫ মিনিটে গোলের দেখা পেয়ে যায় ডর্টমুন্ড; ডিবক্সের বাইরে থেকে নেয়া মার্কো রয়েসের শটটিকে ঝাঁপিয়েও থামাতে পারেননি ন্যুয়ার। ডর্টমুন্ড যখন ম্যাচে ঘুরে দাড়াবার চেষ্টায়, গোলকিপারকে একা পেয়ে ৭৪ মিনিটে তখন আরও একটি গোল করে বসেন লেভানফডস্কি। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই ম্যাচ শেষ করে বায়ার্ন। সুপার কাপে সর্বোচ্চ সাতটি গোল করেছেন পোলিশ তারকা।