ভারতীয় ক্রিকেটার পারভেজ রসুলের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (JKCA) একটি রোলার চুরির অভিযোগ এনেছে এবং যন্ত্রপাতি ফেরত না দিলে আইনের আশ্রয় নিবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। রসুল তার ওপর আরোপ করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বোর্ডকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেছেন একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার কি এরকম আচরণেরই যোগ্য!
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপির মুখপাত্র অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার অনিল গুপ্ত, যিনি জেকেসিএ পরিচালিত একটি উপ-কমিটির অংশ, তিনি বলেছেন শ্রীনগর থেকে অনেক জেলা সংস্থাই ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম নিয়েছে। সব জেলা সংস্থার ইমেইল না থাকার কারণে, সেই জেলার যার ইমেইল তাদের কাছে ছিল ওদেরকেই মেইল করা হয়েছে। এতেই ঘটেছে বিপত্তি।
“শুধুমাত্র পারভেজ রসুল নয়, শ্রীনগর থেকে জম্মু কাশ্মীর ক্রিকেট সংস্থার ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম নিয়েছে যারা, প্রত্যেক জেলা ক্রিকেট সংস্থাকেই মেইল করা হয়েছে। কোনও ভাউচার ছাড়াই জেলা সংস্থাগুলিকে ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম দেয়া হয়েছিল; অনেক জেলা সংস্থার ইমেলই আমাদের কাছে ছিল না। তাই সংশ্লিস্ট জেলায় যাঁর নামে ইমেইল এড্রেস আমাদের কাছে নথিভুক্ত করা আছে, তাঁদেরই মেইল করা হয়েছে”-বলছিলেন অনিল গুপ্ত
রসুলকে লেখা মেইলে পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দিয়েছে জেকেসিএ; বলা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে সরঞ্জাম ফিরিয়ে না দিলে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে তার বিরুদ্ধে। জেকেসিএর পাঠানো মেইলের কড়া জবাব দিয়েছেন রসুল; জানিয়েছেন এটা দুর্ভাগ্যজনক।
“প্রথম কোন কাশ্মিরী ক্রিকেটার আমি, যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছি; খেলেছি আইপিএল, দিলীপ ট্রফি, দেওধর ট্রফি, ইন্ডিয়া ‘এ’, বোর্ড সভাপতি একাদশ, ইরানি ট্রফিতেও। জম্মু ও কাশ্মীর দলের গত ছয় বছরের অধিনায়ক আমি। জেকেসিএ’র একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দুইবার ক্রিকেট বোর্ডের সেরা অলরাউন্ডারের পুরস্কার পেয়েছি। আজ একটা মেইল পেলাম, যেখানে বলা হয়েছে আমি নাকি জেকেসিএ থেকে রোলার নিয়েছি; এটা দুর্ভাগ্যজনক”
সেইসঙ্গে রসুল আরও সংযোজন করেছেন, “আমি স্রেফ জিজ্ঞাসা করতে চাই, একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের সঙ্গে কি এভাবেই ব্যবহার করা উচিত? আমি আমার সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছি জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেটের জন্য, বিনিময়ে আমি কি এমন ব্যবহারেই যোগ্য? প্রত্যেক জেলা ক্রিকেট সংস্থার অনুমোদিত সংস্থা রয়েছে; বরং জেকেসিএর উচিত সেই সমস্ত জেলা সংস্থাগুলোকে জবাবদিহি করা”