এএফসি কাপের ডি গ্রুপে মোহনবাগানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বসুন্ধরা কিংস। ২৮ মিনিটে জনাথন ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বসুন্ধরা, তবে ৬২ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের গোলে সমতায় ফেরে মোহনবাগান। ফলে গ্রুপ সেরা হয়ে পরের রাউন্ডে মোহনবাগান। ভারতের ১৪তম দল হিসেবে এএফসি সেমি ফাইনাল প্লে-অফে জায়গা করে নিল মোহনবাগান।
মোহনবাগানকে হারাতে পারলেই সেমি ফাইনাল প্লে অফ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে বসুন্ধরা কিংস, সামনে আসবে এশিয়ার সেরা হওয়ার সুযোগ। সেমি ফাইনাল প্লে অফ খেলার সুযোগ ছিল কেবল বসুন্ধরা কিংস ও মোহনবাগানের। যে জিতবে সেই হবে গ্রুপসেরা, আর তারাই পরের রাউন্ডে খেলার সুযোগ পাবে। বসুন্ধরার সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না, ম্যাচটা ড্র হলে পরের রাউন্ডে খেলবে মোহনবাগান। এমন অনেক সমীকরণ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমেছিল বসুন্ধরা কিংস।
FT | ?? @atkmohunbaganfc 1-1 @bkings_official ??
? David Williams’ 62nd minute strike proves enough to crown ATK Mohun Bagan South Zone Champions! ?
#AFCCup2021 | #AMBvBDK pic.twitter.com/yCjQVzsg2a
— #AFCCup2021 (@AFCCup) August 24, 2021
মঙ্গলবার মালদ্বীপের মালে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হয় ম্যাচ। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমনে বসুন্ধরা, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের আক্রমন সামলাতেই তটস্থ ছিল মোহনবাগান। শুধু তাই নয়, একমাত্র দল হিসেবে কোনো গোল হজম না করার রেকর্ড নিয়েই মাঠে নেমেছিল বসুন্ধরা। প্রথমার্ধে যার লক্ষনই দেখা গেছে, আনিসুর রহমান জিকোর অসাধারণ গোলকিপিং এবং ডিফেন্ডারদের দুরন্ত ডিফেন্ডিংয়ে।
ম্যাচের শুরু থেকেই উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়ে, প্রতিপক্ষকে কেউই একবিন্দু জায়গা ছাড়েনি। যার প্রমানও মেলে, ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যে তিন হলুদ কার্ড সেই বার্তাই দেয়। তবে ম্যাচের ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো মোহনবাগান, ডেভিড উইলিয়ামসের বাড়ানো বলে ফাঁকা পোস্টে গোল মিস করেন লিস্টন। তখন উইলিয়ামসের অভিব্যাক্তিই বলে দেয় কতটা সহজ সুযোগ তারা মিস করেছে।
মিনিট দশেক পর গোল পায় বসুন্ধরা, দুই ব্রাজিলিয়ান রবিনিও এবং জনাথন ফার্নান্দেজের যুগলবন্দিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। রবিনিওর পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জনাথন। প্রথমার্ধের বাকিটা সময় দুদলই গোল করার চেষ্টা করে, তবে কেউই সফল হয়নি। উল্টো প্রথমার্ধের শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহুর্তে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বসুন্ধরা ডিফেন্ডার সুসান্ত ত্রিপুরা।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ১০ জনের দলে পরিনত হওয়া বসুন্ধরা। একজন কম নিয়ে খেলার ব্যথাই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাংলাদেশের ক্লাবটি। ৬২ মিনিটে গোল করে কলকাতার ক্লাবটিকে সমতায় ফেরান উইলিয়ামস। প্রথমার্ধে সহজ গোল মিস করা লিস্টনের পাস থেকে গোল করেন উইলিয়ামস। ফলে আসরে প্রথম গোল খেল বসুন্ধরা, ওটাই একমাত্র।
মিনিট দশেক পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে মোহনবাগানের সামনে, তবে উইলিয়ামসের দূর পাল্লার শট সহজেই আটকে দেন বসুন্ধরা গোলরক্ষক জিকো। ৮০ মিনিটের মাথায় রবিনিওর শট ঠেকিয়ে দেন মোহনবাগান গোলরক্ষক অম্রিন্দার সিং। শেষ মুহুর্তে মাহবুবুর রহমান সুফিল সহজ সুযোগ মিস করলে জয় পাওয়া হয়নি বসুন্ধরার।