জয় আসতে পারত প্রথম টেস্টেও, কিন্তু জয়ের একদম দ্বারপ্রান্তে গিয়েই ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়ে! কিন্তু, এবার তেমন কিছু ঘটার সুযোগই দেয়নি বাবর আজমের দল; ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ১-১ এ শেষ করেছে নিজেদের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিং লাইনআপটাকে গুড়িয়ে দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি; হয়েছেন প্রথমবারের মত ম্যাচ সেরা এবং সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ও।
৪র্থ দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৪৯। শেষ দিনে জয়ের জন্য বাবর আজমের দলের প্রয়োজন ৯টি উইকেট; স্বাগতিকদের প্রয়োজন ২৮০ রান। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামা দুই দলের জন্যই শুরুর একটা ঘন্টা ছিল অনেক গুরুত্বপুর্ণ। আলজেরি জোসেফকে নিয়ে শুরুর ধাক্কাটা সামলেও নিচ্ছিলেন অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট; দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ২৬ রান। দলীয় ৬৫ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছেন জোসেফ, তখন কে জানত পরের ৮ রান করতেই হারাতে হবে আরও দুইটি উইকেট! এবারে ঘাতক হাসান আলি; এনক্রুমা বোনারকে ফিরিয়েছেন এলবিডব্লিউয়ে, রস্টন চেজকে বানিয়েছেন স্লিপে দাড়ানো ইমরান বাটের ক্যাচে।
৪ উইকেট হারানো ক্যানিবিয়ানরা তখন স্বপ্ন দেখছে জার্মেইন ব্লাকউডকে নিয়ে দারুণ কিছু একটা করে ম্যাচটা বাচিয়ে নিবেন অধিনায়ক, দুজনে মিলে খেলছিলেনও বেশ। কিন্তু লাঞ্চের ঠিক ১৫ মিনিট আগে নওমান আলি খানের বলটা বুঝতে না পেরে ব্লাকউডের ব্যাটের কোণা লেগে বলটা চলে যায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে; তাতেই শেষ হয় তাদের ২৮ রানের জুটির। লাঞ্চের আগে পঞ্চম দিনে ৩২ ওভার ব্যাটিং করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান তুলতে পেরেছে স্বাগতিকরা।
লাঞ্চের পরেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অধিনায়কও। লাঞ্চশেষে নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসে ব্র্যাথওয়েটকে ড্রেসিং রুমে ফিরান নওমান; নওমানের অফ সাইডে করা বলটাকে পয়েন্ট দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্যাচ তুলে দেন ফাওয়াদ আলমের হাতে। ম্যাচটার শেষ তো ওখানেই। এরপর কাইল মায়ার্সকে নিয়ে ৪৬, জসুয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়লেও জেসন হোল্ডার তো পেরেছেন শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে। হোল্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭, মায়ার্স করেছেন ৩২। সফরকারীদের হয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন শাহিন আফ্রিদি, ৩টি নওমান। ১০ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং ১৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা দুটোই হয়েছেন শাহিন আফ্রিদি।