২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার

 চার-ছক্কা নয়, মিরপুরে সাকিবের ভাবনায় ‘সিঙ্গেলস’

- Advertisement -

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার ধুম-ধারাক্কা। সিঙ্গেলস কিংবা স্ট্রাইক রোটেশনের থেকে এখানে ব্যাটসম্যানদের মনোযোগ বেশি থাকে বড় শট খেলাতেই। তবে টি-টোয়েন্টির সেই ‘ব্যাসিক’ এর বালাই নেই মিরপুরে, অন্তত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড, দুদল মিলে বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৮টা! নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা, সেখানে নেপথ্যের নায়ক ম্যাচসেরা সাকিব আল হাসান বলেছেন টি-টোয়েন্টির প্রথাগত আক্রমনাত্মক ব্যাটিং ভুলে এখানে জোর দিতে হবে দৌড়ে রান তোলার দিকে।

টসে জিতে আগে ব্যাটিং করেছে নিউজিল্যান্ড, প্রথম চার ওভারেই প্যাভিলিয়নে কিউইদের চার ব্যাটসম্যান। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি কিউইরা, গুটিয়ে গেছে ৬০ রানে। যেটা তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের যৌথ সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে টাইগারদের তা টপকাতে লেগেছে ১৫ ওভার।

ম্যাচসেরা সাকিব দুদলের সর্বোচ্চ স্কোরার, তবে ২৫ রান করতে খেলেছেন ৩৩ বল। অর্থাৎ কিউইরা তো বটেই টাইগাররাও অতটা সাবলীল ছিলেন না। স্কোর বোর্ড যা দেখিয়েছে ম্যাচশেষে সেই পুরোনো কথাই নতুন করে বলেছেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে বাতলে দিয়েছেন এখানে ভালো করার উপায়।

“এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিঙ্গেলস যত বেশি নেওয়া যায়, কিংবা রানিং বিটুইন দা উইকেট ভালো করা। এই দুটো জিনিসে যত বেশি ফোকাস করা যায় তত ভালো। কারণ, এখানে বাউন্ডারি মারা খুবই কঠিন”-মিরপুরের উইকেটে রান করার উপায় সম্পর্কে সাকিব

শুধুই স্ট্রাইক রোটেশন কিংবা রানিং বিটুইন দ্য উইকেটেই ভালো করা নয়, সাকিব পরামর্শ দিয়েছেন ব্যাটিংয়ে পজিটিভ থাকতে। বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন, তবে শেষমেশ মেনেও নিয়েছেন এই উইকেটে পারফর্ম করা ব্যাটসম্যানদের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং।

“ইতিবাচক মানসিকতায় থাকলে যেটা হবে, সিঙ্গেল-ডাবলস নেওয়া সহজ হয়। যেটা একটা ব্যাটসম্যানের চাপ সরিয়ে নেয়। তার পর সেট হয়ে গেলে একটা-দুইটা বাজে বল পেলে কাজে লাগানো যায়, তাহলে রান করা হয়তো সম্ভব এখানে। তবে যত যাই বলি, ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা খুবই কঠিন কন্ডিশন। এই পিচে খেলার মাধ্যমে অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ব্যাটসম্যানরা”

এই উইকেটে খেলে বিশ্বকাপের জন্য ব্যাটসম্যানদের জন্য আদর্শ প্রস্তুতি হবে না, বিশ্লেষকদের মতামত এমনই। তবে সাকিব এমনটা ভাবছেন না। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের কাছে জয়ই সবচেয়ে বড় প্র্যাকটিস। নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এমন জয় আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলে মনে করেন সাকিব।

“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা ম্যাচ জিতেছি। এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো বিশ্বকাপের পথে এগিয়ে যাওয়ায়। আমার মনে হয় এই জয়গুলি দলের আত্মবিশ্বাসকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যাবে, যেখানে আমরা বিশ্বকাপে গিয়ে ভালো করতে পারি”

সাকিব আল হাসান শুধুই মতামত দেননি, কথার স্বপক্ষে প্রমাণও দেখিয়েছেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে টাইগারদের ভালো করার পেছনে বিশ্বকাপের আগে নিয়মিত ম্যাচ জয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার রেফারেন্সও দেখিয়েছেন তিনি।

“আমার মনে আছে আমার মনে আছে, আমরা ২০০৭ বিশ্বকাপে যখন ভালো করি, তার আগে আমরা অনেকগুলো ম্যাচ জিতেছিলাম টানা, বিশেষ করে ওয়ানডেতে। ওটা আমাদের সহায়তা করেছিল ২০০৭ বিশ্বকাপে ভালো করতে”

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img