২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটে টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে আসবে, টুইটারে শনিবার এমন মন্তব্যই করেছেন সাবেক ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন। তাঁর ধারণা অদূর ভবিষ্যতে লাল বলের ক্রিকেট থেকে হারিয়ে যাবে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ডের মতো দলগুলো। এমনকি এই তালিকায় বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকেও রেখেছেন তিনি।
“টুইটটি লিখতে খুবই কষ্ট হচ্ছে, তবে আমার মনে হয় ধীরে ধীরে এটিই ঘটছে… ২০২৬ সালে বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি দল টেস্ট খেলবে। তারা হল- ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া আর বড়জোর সাউথ আফ্রিকা ও পাকিস্তান”- টুইটারে এমনটাই লিখেছেন ‘কেপি’
তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে এখন ঝড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। টুইটারে ক্রিকেটপ্রেমীদের সরাসরি বিরোধিতাও পেয়েছেন পিটারসেন। নিউজিল্যান্ডকে এই তালিকার বাইরে কিভাবে রাখলেন পিটারসেন, এই অভিযোগই ছিল অধিকাংশের। নিউজিল্যান্ড যে বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়ন! অথচ তারাই কিনা পিটারসেনের তালিকার বাইরে? সমর্থকদের এমন মন্তব্যের জবাবে নিজের অবস্থান কিছুটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন পিটারসেন।
“আমি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নই। তবে ২০২৬ সালে তাদের টেস্ট খেলার সম্ভাবনাও আমি দেখিনা। কারণ টেস্ট ক্রিকেটে সমৃদ্ধশালী দেশগুলো ব্যতীত কোন দেশের শিশুরাই এখন আর টেস্ট খেলতে চায় না” – বলেছেন পিটারসেন
‘কেপি’র এই মন্তব্য অনেকেই মেনে নিতে না পারলেও, অনেকেই মনে করছেন তাঁর আশঙ্কা একেবারে অমূলক নয়। কারণ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড এই তিনটি দল সবগুলো টেস্ট দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলে। এবং এই তিন দলের আয়ও সবচেয়ে বেশি, যা টেস্ট ক্রিকেট টিকিয়ে রাখার জন্য তাঁদের সহায়তা করবে। এবং ধীরে ধীরে ছোট দলগুলোর সাথে এদের একটা অমোচনীয় দূরত্ব সৃষ্টি হবে।
‘বিগ থ্রি’ বাদে অন্য দলগুলোর টেস্ট সিরিজ আয়োজনে টেলিভিশন সম্প্রচারকারীদের ‘লাভ-লোকসানের’ চিন্তা, অন্য দেশগুলোর স্টেডিয়ামে টেস্টে ক্রমবর্ধমান দর্শকখরা তারসাথে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা কথা বিবেচনায় নিয়েই হয়ত এই অন্ধকার ভবিষ্যত দেখছেন পিটারসেন।