নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটে-বলে নিষ্প্রভ থাকলেও টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে সাকিব আল হাসানের ঘটেছে উন্নতি। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে ঢুকে পড়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এদিকে প্রত্যাবর্তনটা ব্যাটে-বলে রাঙিয়ে টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ দশে ঢুকেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস।
ব্যাট হাতে ফর্মটা খুব ভালো না গেলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বল হাতে সাকিব রয়েছেন তার চিরচেনা ছন্দেই। এবছর ১১ টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১৯.৫৭ গড়ে ১৪ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব; ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৬.২৭ গড়ে। সেরা বোলিং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯ রানে ৪ উইকেট।
বল হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের বরাতেই টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাংকিংয়ে এই উন্নতি সাকিবের। তিন ধাপ এগিয়ে টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে সাকিবের অবস্থান এখন ৯। সাকিবের ঠিক এক ধাপ পেছনে, ১০ নম্বরে রয়েছেন তাঁর টাইগার সতীর্থ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তাঁর স্থান যদিও অপরিবর্তিত রয়েছে।
কোন ম্যাচ না খেলেও টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়েও ১ ধাপ উন্নতি ঘটেছে সাকিবের। তিনি বর্তমানে রয়েছেন এই তালিকার ৪ নম্বরে।
এদিকে ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ব্যাট হাতে ফিফটি ও বল হাতে ৭ উইকেট নেওয়ার কল্যাণে আইসিসি টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ দশে ঢুকে পড়েছেন ক্রিস ওকস। ২ ধাপ এগিয়ে তালিকার ৯ নম্বরে রয়েছেন ওকস।
ওভাল টেস্ট ইংল্যান্ড হারলেও প্রায় এক বছর পর দলে ফিরে বোলিং-ব্যাটিং দুইক্ষেত্রেই ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছেন এই ইংলিশ বোলিং অলরাউন্ডার। ভারত প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে ওকসের ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকারের অবদান ছিল মূখ্য। এরপর ব্যাট হাতে ফিফটি করে লিড নিতেও ভূমিকা রাখেন ওকস। পরে নেন আরো নেন ৩ উইকেট।
এদিকে টেস্ট বোলিং র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ নেমে ৭ নম্বরে চলে গেছেন ওকসের সতীর্থ জেমস অ্যান্ডারসন। এক ধাপ এগিয়ে ৯ নম্বরে এসেছেন ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ।
ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়ে দুইধাপ নেমে ১০ নম্বরে চলে গেছেন প্রোটিয়া উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। একধাপ এগিয়ে তার জায়গা নিয়েছেন কিউই ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন।
টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে ঢুকে পড়েছেন ওমানের জিসান মাকসুদ। জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন ৮ নম্বরে। ১ নম্বরে যথারীতি রয়েছেন সাকিব আল হাসান।