করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বিদেশী ক্রিকেটাররা না এলে পূর্বের মত শুধু দেশীয় ক্রিকেটারদের নিয়েই টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বিসিবি, এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে সেটার নাম হয়তো বিপিএল হবে না, হবে অন্যকিছু।
শুক্রবার গণমাধ্যমের সামনে এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন পাপন।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে সামনের ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বিপিএল আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিবি। দেশের সবচেয়ে বড় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশে করোনা মহামারীর আঘাতের পর আর আয়োজন করা হয়নি। ২০১৯-২০ মৌসুমের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই আয়োজিত হয়েছিল সর্বশেষ আসরটি। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজশাহী রয়্যালস।
তবে বাংলাদেশের করোনা বাস্তবতার মাঝে বিপিএল খেলতে বিদেশী ক্রিকেটাররা বিপিএল খেলতে বাংলাদেশে আসতে আদৌ রাজি হবেন কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। ইতোমধ্যে করোনার আঘাত ক্রিকেট-বিশ্বে ভালোভাবেই লেগেছে। করোনার প্রকোপে আইপিএল স্থগিত হয়ে গেছে, অনেক আন্তর্জাতিক সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে। সম্প্রতি করোনার আঘাতে বাতিল হয়ে গেছে ইংল্যান্ড বনাম ভারত সিরিজের ৫ম টেস্ট ম্যাচটিও।
‘আমি শুধু বলতে পারি- আমাদের হাতে বিপিএল আয়োজনের মত স্লট আছে। তবে এত আগে কিছু বলার উপায় নেই। যেসব দেশ করোনার দিক দিয়ে নিজেদের নিরাপদ মনে করেছিল, তারা এখন করোনার দ্বিতীয়, তৃতীয় এমনকি চতুর্থ ঢেউও সামলাচ্ছে। সুতরাং সামনে কী পরিস্থিতি হবে, আমরা কেউ জানি না।’- শুক্রবার গণমাধ্যমকে পাপন
তবে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, বিকল্প পরিকল্পনাও মাথায় আছে। প্রয়োজন হলে আগের মত আবারো শুধু দেশীয় ক্রিকেটারদের নিয়েই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বিসিবি।
“বাইরে থেকে যদি ভালো খেলোয়াড় না আনতে পারি তাহলে তো এটাকে ‘বিপিএল’ বলা যাবে না। তখন হয়তো আমরা নিজেদের মধ্যে টুর্নামেন্ট খেলতে পারি। আমাদের সময়, জায়গা রাখা আছে, পরিকল্পনা করা আছে। এখন পরিস্থিতির ওপর সব নির্ভর করছে।’
গতবছর মহামারীর মধ্যেই দেশে ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর লক্ষ্যে কড়া জৈব সুরক্ষা বলয়ের আওতায় দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবি- তিনটি দল নিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ নামের ওয়ানডে টুর্নামেন্ট ও পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ নামক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। মাঠে দর্শক প্রবেশ না করতে পারলেও দুটি টুর্নামেন্টই পেয়েছিল ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জেমকন খুলনা।