পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এই জয়ের মধ্য দিয়ে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টাইগার যুবাদের হয়ে বোলিংয়ে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাইমুর রহমান নয়ন। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩১ রান এসেছে ওপেনার মফিজুল ইসলামের ব্যাট থেকে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এই ম্যাচেই অভিষেক হওয়া সাবাউন বানুরি শুরু থেকেই খেলেছেন বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে; প্রথম ম্যাচে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করা সোলায়মান সাফি মাত্র তিন রান করেই রিপন মন্ডলের বলে আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেলেও স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে যাচ্ছিলেন বানুরি। ৩ চার এবং ১ ছয়ে ২৫ রান করে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছিলেন এই ওপেনার, তখন দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৪। বানুরি ফিরে যাওয়ার পর শুরু হয় নয়নের স্পিন ঘূর্ণি; যাতে একে একে ড্রেসিং রুমে ফিরেন চার চারজন ব্যাটসম্যান। মাত্র ১৪ রানে ৪টি উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীদের রানের চাকাটাই আঁটকে দেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ১০১ রানেই থামে আফগান যুবাদের ইনিংস।
১০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন টাইগার ওপেনার মফিজুল ইসলাম এবং প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। দুজনে মিলে গড়েন ৩৭ রানের জুঁটি; ব্যক্তিগত ২৪ রানে নাবিল ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে খেলে যান মফিজুল। ব্যক্তিগত ৩১ রানে যখন মফিজুল ড্রেসিং রুমে ফিরে যাচ্ছেন, তখন দলের রান ২ উইকেটে ৫৭; জয়টা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় দুই আফগান স্পিনার শহিদুল্লাহ হাসানি এবং ইজহারুল নাভিদের বোলিং তান্ডব। ২৫ রানের ব্যবধানে দুজনে মিলে তুলে নেয় ৫টি উইকেট; পুরো ম্যাচে টাইগারদের হারানো সাতটি উইকেটই নিয়েছেন এই দুই স্পিনার।
একপ্রান্ত দিয়ে সবাই উইকেট দিতে থাকলেও পিচে টিকে থাকেন আইচ মোল্লা; টাইগার যুবারা জয় নিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছে তখন ১৬ রানে অপরাজিত এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। ২৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন আফগান লেগস্পিনার ইজহারুল নাভিদ। তৃতীয় ওয়ানডেতে মঙ্গলবার মাঠে নামবে দুই দল।