ঘরের মাঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজে জয়। সামনেই বিশ্বকাপ; প্রস্তুতি কতটা ভালো হয়েছে তা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা থাকলেও, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মনে করেন জয়ের অভ্যাস তৈরী হওয়াটাই বেশি জরুরী ছিল। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই ওমানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে টাইগাররা। তার আগে অধিনায়কের কণ্ঠ থেকে ঝড়লো প্রসংশার বাণী; কথা বলেছেন অলরাউন্ডারের সাথে।
“বিশ্বকাপের মত আসরে সবকিছুই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু আমি তরুণদের নিয়ে বেশ আশাবাদী। শরিফুল, শামিম, আফিফ সবার মধ্যেই সামর্থ্য আছে দারুণ কিছু করার”- তরুণদের নিয়ে রিয়াদ
তরুণদের নিয়ে আশাবাদী হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে চাপটা থাকেই সেটা লুকোননি অধিনায়ক নিজেও। বিশ্বকাপে যে চাপটা আরো বেশিই থাকে, সেটাও অজানা নয়। কিন্তু, রিয়াদ জানালেন তরুণরা যাতে চাপ অনুভব না করে, সেজন্য দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত সিনিয়ররাও।
“আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ থাকবেই। সেটা মেনে নিয়েই তাদের খেলতে হবে। আমরা সিনিয়ররা যারা আছি, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সামলে নেয়ার দায়িত্বটা আমাদের। আমার মনে হয়, তরুণ যারা তাদেরকে স্বাধীনতা দেয়া উচিত। তারা তাদের মত করে খেলুক”
সদ্যই টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জয়ের পরিসংখ্যানে পেছনে ফেলেছেন তর্কসাপেক্ষে দেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে। কিন্তু, রিয়াদ অনুপ্রেরণা খুঁজেন মাশরাফীতেই। মাঠের বাইরে হয়ে উঠতের চান তরুণদের সবচেয়ে বড় আস্থা।
“মাশরাফী ভাই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক। আমি তাকে অনেক পছন্দ করি। তার সাথে আমার সম্পর্কটা কেমন এটাও প্রত্যেকে জানে। মাঠের বাইরে আমি কেমন সেটা সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড়েরাই বলতে পারবে। মাঠের বাইরে দলের খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি, চেষ্টা করি তরুণদের মধ্যে যাতে চাপ না কাজ করে সেদিকে খেয়াল রাখার”- অলরাউন্ডারকে বলছিলেন রিয়াদ
অধিনায়ক হিসেবে দলের সবার সাথে অনেকেই ফ্রি হতে পারেননা, কিন্তু রিয়াদ শোনালেন ভিন্ন কথা। শুধু রিয়াদই নয়, তামিম-সাকিব-মুশিরাও যে দলের সবার সাথে খুব সহজেই মিশে যায় সেটাও জানিয়েছেন অধিনায়ক।
“আমি সবার সাথেই খুব ফ্রি। দলে আমরা সবাই ভীষণ মজা করতে পছন্দ করি। সাকিব এইদিক থেকে বেশ এগিয়ে, ও তরুণদের সাথে খুব ভালোভাবে মিশে, ওদের সাপোর্ট করে। মুশি আছে, তামিম টি-টোয়েন্টিতে নেই। কিন্তু দলের সবার সাথে ওর সম্পর্কটাও দারুণ; এমনকি তাসকিন, সৌম্যদেরও। দলে কেউ নতুন এলে সে যেন স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে মিশতে পারে এটা প্রত্যেকেই নিশ্চিত করার চেষ্টা করি”
টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হতে যাচ্ছে ১৭ অক্টোবর; প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। প্রথম রাউন্ড শেষে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌছবে টিম টাইগার, জায়গা করে নিবে সেমিফাইনালেও এই স্বপ্ন দেখতেই পারে ক্রীড়াপ্রেমিরা।