একটা সময় লিওনেল মেসি খেলেছেন পেপ গার্দিওলার অধীনে। সময়ের সাথে বদলেছে সব হিসেবনিকেশ, বদলেছে ঠিকানাও। ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে আসা মেসির ঘর এখন পার্ক দে প্রিন্সেস আর গার্দিওলার ঠিকানা ম্যানচেস্টার সিটি। বুধবার রাত একটায় ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এ’ গ্রুপের সিটিজেনদের বিপক্ষে মাঠে নামবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। দুই দলের দ্বৈরথ ছাপিয়ে লড়াইটা গুরু-শিষ্যেরও।
লিগ ওয়ানের শেষ ম্যাচে হাঁটুর চোটের কারণে খেলতে পারেননি মেসি। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মেসি থাকবেন কিনা সেটাও নিশ্চিত না। তবে সাবেক শিষ্যকে মাঠে দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন গার্দিওলা। গণমাধ্যমের সামনে খানিকটা আবেগপ্রবণও হয়ে গিয়েছিলেন পেপ। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে ন্যু ক্যাম্পের বাইরে দেখা তার জন্যও বিস্ময়কর।
‘এমন সময় ছিল যখন মেসি বার্সেলোনায় নেই, সেটি ভাবাও যেত না। কিন্তু এমনটাই ঘটেছে। জীবনে হয়তো কোনো কিছুরই নিশ্চয়তা নেই। আমি মনে করি, মেসির মতো খেলোয়াড়েরা মাঠেই নিজেদের হয়ে কথা বলে। আশা করি, দুর্দান্ত লড়াইয়ের জন্য জন্যই ওর মাঠে নামা উচিত’
পিএসজির বিপক্ষে সবশেষ তিন ম্যাচের সবগুলোতে জয় পেয়েছে সিটি। তবুও দলটার আক্রমণভাগই ভয় বাড়াচ্ছে সিটিজেনদের। গার্দিওলার বিপক্ষে মেসির পারফর্ম্যান্স দুর্দান্ত। গার্দিওলার অধিনে খেলা দলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মেসির গোল সংখ্যা ৬। যেকোনো বিচারেই অতীতই হয়তো মেসিকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে।
মেসি-গার্দিওলা একসাথে ১৪ ট্রফি জিতেছেন। গার্দিওলার দলের বিপক্ষে শেষবারের দেখায় ৪ গোলের জয় পেয়েছিল মেসির বার্সেলোনা। তবে হিসেব এখন অনেকটাই অন্যরক। পিএসজির হয়ে অভিষেক ম্যাচে মেসি মাঠে ছিলেন ২৫ মিনিট; বুধবার রাতে পুরো নব্বই মিনিটই হয়তো মেসিকে মাঠে দেখতে ফুটবল ভক্তরা।