টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। মঙ্গলবারের দলে কলকাতা একাদশে দুইটি পরিবর্তন স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলাদেশি সমর্থকদের। স্বপ্নটা পুরোনো, কেকেআরের একাদশে আছেন সাকিব! কিন্তু, স্কোয়াডে দুইটি পরিবর্তন এলেও দলে জায়গা হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। সাকিবহীন কলকাতা ৩ উইকেটে জিতলেও, সাকিবের না থাকায় বাংলাদেশি সমর্থকরা যে খুশি নন তা অনুমান করাই যায়। শুধুই কি বাংলাদেশি সমর্থকরাই? কলকাতার সমর্থকরাও কি নয়!
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং স্টিভেন স্মিথ। দুজনের প্রথম উইকেট জুটিতে আসে ৩৫ রান; ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ধাওয়ান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে রিশভ পান্থের দল। ধাওয়ান, স্মিথ এবং পান্থ ছাড়া দুই অঙ্কের রান পেরোতে পারেনি আর কেউই। সমান ৩৯ রান করে এসেছে স্মিথ আর পান্থের ব্যাট থেকে। এই তিনজন বাদ দিয়ে বাকি সাত ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১৯ রান। ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি আনরিক নরকিয়াকে; নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দিল্লীর সংগ্রহটাও তাই ৯ উইকেটে ১২৭। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন সুনীল নারিন, ভেঙ্কাটেস আইয়ার এবং লোকি ফার্গুসন।
১২৮ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করা কেকেআর প্রথম ছয় ওভারে দুই উইকেট হারালেও স্কোরবোর্ডে তুলে ৪৪ রান। ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আইয়ার, ৯ রানে রাহুল ত্রিপাঠি। নীতিশ রানার সাথে ২৪ রানের জুটি গড়েই ড্রেসিং রুমে ফেরেন ৩০ রান করা শুভমন গিল; দুই বল পরেই কোনো রান না করেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন অধিনায়ক ইয়ন মরগানও। এরপর দীনেশ কার্তিককে নিয়ে রানা টানা দুই উইকেট হারানোর বিপর্যয় কাঁটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও, ১২ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কার্তিকও।
তাতে কি! সুনীল নারাইন যেন ঠিক করে রেখেছিলেন দিল্লীর বিপক্ষেই ফিরবেন পুরোনো রুপে! রানার অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংসটি ম্যাচ জয়ে বড় ভূমিকা পালন করলেও, নারিনের শেষবেলায় খেলা ১০ বলে ২১ রানের ইনিংসটি যে আবারও প্রশ্ন জাগিয়েছে সমর্থকদের মনে। পরের ম্যাচেও কি তাহলে বেঞ্চেই বসে থাকবেন সাকিব! ১৩ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন আভেশ খান।