টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ওমানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। প্রথম পর্বের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ওমানের আল আমিরাত স্টেডিয়ামেই; যেখানে শুক্রবার দেশটির ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলেছে টাইগাররা। বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে, জ্বলে উঠতে হবে পেসারদেরও। স্কোয়াডে থাকা পেস বোলারদের নিয়ে ভীষণ আশাবাদী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। ক্রিকবাজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমার মনে হয়, সর্বশেষ ছয় থেকে আট মাস এবং শেষ তিনটি সিরিজে আমাদের পেসাররা দারুণ বল করেছে। আমরা নিজেদের উন্নতি নিয়ে অনেক কাজ করেছি। বোলাররা প্রত্যেকেই ছন্দে আছে এবং তারা জানে তাদের কি করা উচিত”
বিশ্বকাপের মতো আসরে চোখ থাকে সবার। পুরোনো কথাটাকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ক্যারিবিয়ান কোচ, “নিজেকে চেনানোর জন্য বিশ্বকাপের চেয়ে দারুণ মঞ্চ আর হতে পারে না। পেস বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা কতোটুকু উন্নতি করতে পেরেছি সেটা দেখে নেয়ার এটাই আদর্শ সময়। অনেককেই বাংলাদেশের স্লো পিচে পেসারদের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের বলতে চাই, আমরা শুধু বাংলাদেশেই নয়, দেশের বাইরেও ভালো করতে সক্ষম”
পেসারদের নিয়ে কথোপকথন, আর মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে কথা হবে না তা কি করে সম্ভব? আইপিএলে দুর্দান্ত ফিজ, ঘরের মাঠের সিরিজগুলোতেও ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ফিজকে নিয়ে বলতে গিয়ে গিবসন বলেন, “আমি বিন্দুমাত্রও অবাক নই আইপিএলে মুস্তাফিজকে ভালো করতে দেখে। সে তার বোলিং নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছে এবং তার ফলও পাচ্ছে। দলে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে সে জানে। আশা করি, বিশ্বকাপেও সে তার ছন্দ ধরে রাখবে”
মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং মোহাম্মদ শরিফুল। চারজন পেসার নিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। একাদশে কে কে সুযোগ পাবেন, তা নিশ্চিত করবেন কেচ এবং অধিনায়ক। কিন্তু, দলের চার পেসারই যে নিজেদের প্রস্তুত রেখেছেন নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে, তা স্পষ্ট বোলিং কোচের কথাতেই। ওটিস গিবসন বলেন, “স্কোয়াডে থাকা পেসারদের নিয়ে আমি চিন্তিত নই। চারজনের গ্রুপ ওরা; সুযোগ পেলে যে কেউই নিজের সেরাটা দিতে সক্ষম। ওরা নিজেদের যেভাবে প্রস্তুত করেছে, যখন যেই সুযোগ পাক না কেনো, ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব ফেলতে সক্ষম”
দেশ ছাড়ার আগে ছোট ভাই তাসকিন আহমেদকে বোলিং টিপস নিতে দেখা গেছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নিকট হতে। ম্যাশের এগিয়ে আসা যে দেশের জন্যই অনেক বড় পাওয়া সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন গিবসন নিজেই, “মাশরাফী বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি এবং সে সত্যিই দেশের হয়ে দারুণ খেলেছে। এটা ভীষণ আনন্দের যে সে অনুজদের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে। আমি তাসকিনসহ বাকিদের সবসময়ই বলি মাশরাফীর কাছে পরামর্শ নিতে। যদি মাশরাফী নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে প্রস্তুত থাকে, তাহলে সেটা পুরো দলের জন্যই মঙ্গলজনক”