আগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে একটি দর্শনীয় গোল করেছিলেন, এই ম্যাচে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে করেছেন প্রায় একই রকম অসাধারণ একটি একক প্রচেষ্টার গোল, এর আগে ম্যাচের প্রথম গোলের দুর্দান্ত অ্যাসিস্টটিও এসেছিল তার পা থেকে- এই ম্যাচটি আরেকটি ‘মোহাম্মদ সালাহ শো’ হিসেবে মনে রাখা যেত খুবই সহজে। তবে ম্যাচের একেবারে অন্তিম সময়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে রবার্তো ফিরমিনো সেই গৌরব বলতে গেলে ‘ছিনিয়েই’ নিয়ে গেলেন তাঁর আক্রমণভাগের সতীর্থের কাছ থেকে।
এতে অবশ্য বিন্দুমাত্র মন খারাপ করার কোন কারণ নেই সালাহর। এই হ্যাটট্রিকের কল্যাণেই যে ওয়াটফোর্ডকে তাদেরই মাঠে ৫-০ তে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল। ইপিএলে টানা দুটি ম্যাচ ড্রয়ের পর একটি জয় পেয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল; প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠে গেছে তারা। লিভারপুলের হয়ে এটি ফিরমিনোর তৃতীয় হ্যাটট্রিক। অপর গোলদুটি করেছেন মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানে।
লিভারপুলের হয়ে ম্যাচের ৯ মিনিটে গোলের খাতা খোলেন সাদিও মানে; ডানপ্রান্ত থেকে মোহাম্মদ সালাহর একটি ডিফেন্স চেরা পাসকে গোলে পরিণত করেন তিনি। ৩৮ ও ৫২ মিনিটে ফিরমিনো করেন জোড়া গোল।
ম্যাচের ব্যবধান ৪-০ হয় ৫৪ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর দর্শনীয় একটি গোলে। ডিবক্সে প্রায় চারজন ওয়াটফোর্ড ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে একটু থেমে, গতিজড়তায় ১৫ নম্বর জার্সি পরিহিত ক্রেইগ ক্যাথকার্টকে ছিটকে ফেলে দুর্দান্ত এক শটে পোস্টের দূরবর্তী জালে বল জড়ান সালাহ। এই গোলের মাধ্যমে এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কমপক্ষে ১১টি গোলে অবদান রাখলেন সালাহ।
এক হালি গোল খাওয়ার পর ওয়াটফোর্ডের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা শেষই হয়ে যায়। ম্যাচে রোমাঞ্চের জায়গা ছিলো একটিই, হ্যাটট্রিক পূর্ণ করতে পারেন কিনা ফিরমিনো; ৯১ মিনিটে সেটিও করে ফেলেন তিনি। হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্টও করেছেন ‘ববি’।