হারলেই নিশ্চিত বিদায়; জিতলেও অনিশ্চিত পরের রাউন্ড। এমন কঠিন সমীকরণ নিয়েই রাত্রে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ; প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ওমান। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রথম রাউন্ডে দেখা হয়েছিল দুই দলের। তামিম ইকবালের দুর্দান্ত শতকে ওমানকে উড়িয়ে দিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু, এবারের বিশ্বকাপে টাইগার স্কোয়াডেই নেই তামিম। দেশসেরা ওপেনারের অভাবটা ঘোচাবেন কে?
ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে একবার ফিরে যাওয়া যাক ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটাতে। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে ওমান; সিদ্ধান্তটা কতো বড় ভুল ছিল তা বোঝা যায় নির্ধারিত বিশ ওভারে টাইগারদের ২ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহে। ১০ চার এবং ৫ ছয়ে মাত্র ৬৩ বলে তামিমের সংগ্রহ ১০৩*, ২৬ বলে ৪৪ সাব্বির রহমানের। কাকতালীয়ভাবে দুজনেই নেই এবারের ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্বকাপে। ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি বাঁধার সমুক্ষীণ দুই দল; ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ওমানের লক্ষ্যটা দাড়ায় ১২ ওভারে ১২০! ১২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬৫ রানেই থামে ওমানের ইনিংস; সাকিব আল হাসান নেন ৪টি উইকেট।
২০২১ বিশ্বকাপে সাকিব তো আছেন, বোলিংটাও করে যাচ্ছেন ঠিকঠাক। কিন্তু, ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবালের অভাবটা পূরণ করতে পারছেন না কেউই। চার বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে এসে জাতিন্দার সিং-জিসান মাসুদরাও নিজেদের পরিণত করেছেন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যানে; পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই দলকে এনে দিয়েছেন দশ উইকেটের জয়। পাপুয়া নিউগিনিকে হিসেবের বাইরেই নাহয় রাখা যাক; বাংলাদেশ যদি দুটো ম্যাচ জিতেও যায়, ওমান যদি জেতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তাহলে গ্রুপ-বি তে দুইটি করে ম্যাচ জিতবে তিন দল। তখন হবে রানরেটের হিসেব; আর প্রথম ম্যাচে ৩৮ বল হাতে রেখেই দশ উইকেটে জিতে রানরেটের হিসেবটাতে যে অনেক অনেক এগিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা সেটা অনুমান করাই যায়।
কোনো সন্দেহ নেই টাইগারদের খেলতে হবে রানরেটের কথা মাথাতে রেখেই। স্কটল্যান্ড টানা তিন ম্যাচ জিতে গেলে ভিন্ন কথা, কিন্তু শেষ অব্দি দুটো করে ম্যাচ জিতলে যে রানরেটটাই গড়ে দেবে পার্থক্য! এমন মুহুর্তে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তামিম ইকবালের অভাবটা বোধহয় একটু বেশি করেই চোখে পড়ছে। কে হবেন তামিম? কে এনে দেবেন বাংলাদেশকে একটা বড় সংগ্রহ; অনেক বড় জয়?