টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে ইংল্যান্ড; বল হাতে শুরুতেই মঈন আলি। ওভারের শেষ বলটাতে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা এভিন লুইসের। পরের ওভারেই ক্রিস ওকসকেও উঠিয়ে মারতে গেলেন একইভাবে। মিড অফ থেকে লং অফে দৌড়ে গিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ মঈনের, প্যাভিলিয়নের পথে ক্যারিবিয়ান ওপেনার। লুইসকে দিয়ে শুরু; পাওয়ারপ্লেতে একে একে ফিরলেন লেন্ডল সিমন্স, শিমরন হেইটমায়ার এবং ক্রিস গেইলও। প্রথম ছয় ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩১।
তিন বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা টাইমাল মিলসের পাওয়ারপ্লের শেষ বলটাতে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ইউনিভার্স বস। টানা চার ওভার বল করেছেন মঈন; সতেরো রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুইটি উইকেট। অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বল হাতে ক্রিস জর্ডান; প্রথম বলেই ডোয়াইন ব্রাভোর চার। পরের বলেই পয়েন্ট দিয়ে চার মারতে গিয়ে জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ব্রাভোও।
৩৭ রানেই ৫ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানরা কাইরন পোলার্ড-নিকোলাশ পুরানের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায়। কিন্তু, দিনটা যে ইংল্যান্ড পেসারদের! ৯ বলে মাত্র ১ রান করে মিলসের বলে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন পুরান; ৪২ রানেই নেই ওয়েস্টইন্ডিজের ৬ উইকেট! যাওয়া-আসার মিছিলটা রুখেনি, বরং সময়ের সাথে সাথে বেড়েছেই।
ব্যাটিংয়ে তখন অধিনায়কের সাথে আন্দ্রে রাসেল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটাতে দুজনে কতটা ভয়ংকর, এটা জানে পুরো ক্রিকেট বিশ্বই। কিন্তু, ১১তম ওভারে বল করতে আসা আদিল রশিদের গুগলিটা বুঝতেই পারলেন না আন্দ্রে রাসেল। ডিফেন্স করতে গিয়েই বোল্ড ক্যারিবিয়ান তারকা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে আবারো প্রথম বলেই উইকেট রশিদের। লং অনের উপর দিয়ে রশিদকে তুলে মারতে গিয়ে বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ অধিনায়কের। পরের বলেই ওবেদ ম্যাককয়কে ফিরিয়ে অন অ্যা হ্যাটট্রিকে রশিদ।
হ্যাটট্রিক বলটাতে স্লিপে দাড়ানো দুই ফিল্ডার, ব্যাটিংয়ে রবী রামপাল। ফ্লাইটে করা বলটাতে সম্পূর্র্ণভাবে পরাস্ত ক্যারিবিয়ান পেসার, কিন্তু লাগলো না স্ট্যাম্পে। হ্যাটট্রিক না হলেও রশিদ তুলে নিয়েছেন দুই রানে চার উইকেট। ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস থেমেছে ৫৫ রানেই। খেলতে পারেনি বিশটা ওভারও!