খেলাটা যারা দেখেননি তারা একটু বিভ্রান্ত হতে পারেন। জেজে স্মিট তো নামিবিয়ার অলরাউন্ডার; সম্প্রতি আইসিসি টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ে তিন নম্বরেও এসেছিলেন। তার অবদান কিভাবে নিউজিল্যান্ডকে বড় স্কোর করতে সাহায্য করবে?
কিন্তু এটি ঘটেছে। নামিবিয়ান স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও ফিল্ডারদের দক্ষতায় একসময় যখন মনে হচ্ছিল ১৪০ ও করতে পারবে না নিউজিল্যান্ড, সেখান থেকে ২০ ওভার শেষে তাদের স্কোর গিয়ে থেমেছে ১৬৩/৪ এ। স্লগ ওভারে জিমি নিশাম ও গ্লেন ফিলিপসের ব্যাটিং ঝড়ের যেমন এতে অবদান ছিলো, তেমনি নিজের প্রথম ওভারে ৯ রান দেওয়া স্মিট শেষ ওভার করতে এসে ৪টি ওয়াইডসহ ১৮ রান দিয়েও কম অবদান রাখেননি!
তবে শুরুটা নিউজিল্যান্ডের ভালো হয়নি। এমনকি ১৬ ওভার পর্যন্ত কিউইদের ভালোই বেঁধে রেখেছিলো নামিবিয়া। প্রথম থেকেই নামিবিয়ার বোলাররা হাত খুলতে দেয়নি কিউই ব্যাটসম্যানদের। পাওয়ারপ্লেতে আসে মাত্র ৪৩, ডেভিড উইজা তুলে নেন পার্টিন গাপটিলকে। এরপর আরো তিন উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড নিয়মিত বিরতিতে। একে একে ফিরে যান ড্যারিল মিচেল, কেন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে।
১৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ৯৬ রান। এরপর গ্লেন ফিলিপস ও জিমি নিশামের ঝড়ো পার্টনারশিপের কল্যাণে বাকি ৪ ওভারে নিউজিল্যান্ড তোলে ৬৭ রান! ফিলিপস ২১ বলে ১ চার ও তিনটি বিশাল ছক্কায় ৩৯* রান তোলেন, নিশাম তোলেন ২৩ বলে ৩৫*।