ম্যাচের হাফ টাইমে রয় কিন স্কাই স্পোর্টসে বললেন, “এই দলটিকে নিয়ে আমার কোন আশা-ভরসা নেই”
সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান ফুটবল পন্ডিতের হতাশার সমপরিমাণই হয়তো এইমুহুর্তে সঞ্চালিত হচ্ছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছেড়ে বের হতে থাকা সকল সমর্থকদের মনে-মগজে। আগের লিগ ম্যাচে লিভারপুলের হাতে নাকাল হওয়ার পর ম্যানচেস্টার ডার্বিতেও ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-০ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এরিক বাইয়ির আত্মঘাতী গোলের পর সিটির পক্ষে গোল দিয়েছেন বার্নার্দো সিলভা।
প্রথম ২০ মিনিটে ইউনাইটেড বলের দখল ধরে রাখতে পেরেছে সাকুল্যে ১ মিনিট। এর উপর মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে আসে ৭ মিনিটে এরিক বাইয়ির আত্মঘাতী গোল। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর রোনালদো একবার সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন প্রথমার্ধে। বাকি পুরোটা সময় সিটির প্রেসিং আর আক্রমণের চাপে ইউনাইটেডের ৩-৫-২ এর ফর্মেশন ৫-৩-২ তে নেমে এসেছিলো, কিন্তু পাঁচ-পাঁচ জন ডিফেন্ডারের রক্ষাবূহ্যও ফোডেন-ডি ব্রুইনা-সিলভাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারছিলোনা; না ইউনাইটেড পাচ্ছিলো বলের দখল।
এর উপর ডিফেন্ডারদের আজগুবি ভুল করা তো চলছিলোই। ডেভিড ডে হায়া প্রথমার্ধেই ৫টি মারাত্মক সেইভ করেন যার বেশিরভাগই ছিলো ম্যাগুয়ের, বাইয়ি, লিন্ডেলফদের দোষে। লিন্ডেলফ তো আরো একটি আত্মঘাতী গোল প্রায় দিয়েই বসেছিলেন। প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে হোয়াও ক্যান্সেলোর অ্যাসিস্টে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বার্নার্দো সিলভা।
Still trying to figure out how Bernardo Silva squeezed that in 😱 pic.twitter.com/pHPsj1BzR1
— Goal (@goal) November 6, 2021
কতোটা বাজে খেলেছে ইউনাইটেড তা হয়তো একটি পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া যাবে। প্রথমার্ধে রোনালদোর ওই সুযোগটিই ছিলো গোটা ম্যাচে ইউনাইটেডের একমাত্র লক্ষ্যে নেওয়া শট। দ্বিতীয়ার্ধে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি ইউনাইটেড।
লিভারপুলের বিপক্ষে হারের পরই কোচ ওলে গুনার শুলসারের এপিটাফ লিখে ফেলেছিলো অনেকে, তবে টটেনহ্যাম ও আতালান্তার বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্সে তখন দর্শকদের শান্ত করা গিয়েছিল। তবে ডার্বি হারের পর হয়তো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে ওলের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকা হয়েই গেল!