বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি! অধিকাংশ খেলোয়ারদেরকেও পড়তে হয়েছে কঠিন সমালোচনার মুখে। তবে, এতো এতো হতাশার মাঝেও কিছুটা আশার সঞ্চার করেছে তাসকিন আহমেদের বোলিং। তবে এখনই নিজের বোলিং ধরণ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চান না তাসকিন।
সোমবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই ‘স্পিডস্টার’। জানিয়েছেন, গত দুই বছর যাবত যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।
“আমি বোলিংয়ে আগের থেকে ধারাবাহিক হয়েছি। সব জায়গায় এখনও উন্নতি করতে পারিনি, তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পেস এবং লেন্থ নিয়ে কাজ করছি। আমি ভবিষ্যতে একজন সেরা পেসার হতে চাই।”-গণমাধ্যমে তাসকিন
তবে মিরপুরের নিচু মন্থর উইকেট তো পেস বোলারদের বেড়ে ওঠার জন্য একেবারেই সহায়ক নয়, এমনকি এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবির পেছনে এই উইকেটকেও দায়ী করা হচ্ছে সমানভাবেই। তবে তাসকিনের তো এখানে কিছু করার নেই, তিনি তাই সেই ‘স্পোর্টিং উইকেট’ পাওয়ার আশাই জানিয়ে গেলেন,
ফাস্ট বোলাররা সবসময়ই চায় যে বোলিং সহায়ক উইকেটে খেলতে। কিন্তু সাধারণত সাদা বলে বোলিং সহায়ক উইকেটের বদলে স্পোর্টিং উইকেটেই বেশি খেলতে হয়। মিরপুরে আশাকরি এবার স্পোর্টিং উইকেটই হবে। যেখানে ব্যাটসম্যান ও বোলার দুজনই সুবিধা পাবে। তবে কন্ডিশন যাই থাক, একজন বোলার হিসেবে আমি চেষ্টা করছি নিজেকে সেই কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য”
বিশ্বকাপের ব্যার্থতা ভুলে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। কঠিন কাজ হলেও নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলবে টাইগাররা। এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন,
“সত্যি কথা বলতে বিশ্বকাপে আমরা আশানুরুপ ফলাফল পাইনি। তবে, এটা তো এখন অতীত! সামনে পাকিস্তান সিরিজে আমরা দল হিসেবে ভালো খেলতে চাই। হ্যাঁ, অবশ্যই এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে। কিন্তু তাও আমরা চাই যে, এই সিরিজে আমাদের সেরাটা দিয়ে ভালো করতে”
সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলা পাকিস্তান, এবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। তাদের সমীহ করলেও ভালো খেলেতে আশাবাদী তাসকিন।
“নিঃসন্দেহে, পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে অন্যতম সেরা একটি দল। তারা ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং এই তিন জায়গাতেই ভালো করছে। আমাদের তাদেরকে হারাতে হলে আমাদের এই তিন জায়গায় উন্নতি করতে হবে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি দেশকে আমরা ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো ”