৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার

হায় বাংলাদেশ!

- Advertisement -

জয়টা ছিল হাতের মুঠোতেই, প্রয়োজন শুধু ছিল বল হাতে ধারাবাহিকতার। সেই ধারাবাহিকতাটাই যেন দেখাতে পারল না মুস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলামরা। জয়ের পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে ওঠা খুশদিল শাহ যখন ৩৪ করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছেন, পাকিস্তানের তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৯ বলে ৩২! টাইগারদের জয় তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, এমন সময়ে মুস্তাফিজ-শরিফুল মিলে দুই ওভারে দিলেন ৩০! পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছয়, চার বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পাকিস্তান।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, হেরেও খুশি পাকিস্তান। টসে জিতলে যে ফিল্ডিংই নিতে চেয়েছিলেন বাবর আজম! টস শেষে বলেছিলেন ১৪০-১৫০ রানের মধ্যে বাংলাদেশকে থামাতে পারলেই জেতা যাবে ম্যাচ। হলোও তাই, কঠিন হয়ে ওঠা ম্যাচটা ঠিকই চার বল হাতে রেখেই জিতেছে পাকিস্তান।

দুজনের ব্যাটেই এগিয়েছে বাংলাদেশ

প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নতুনদের ভীড়েও পুরোনো ব্যাটসম্যানদের কল্যাণেই বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ১২৭; সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন আফিফ হোসেন, ৩০* রানে অপরাজিত ছিলেন মাহেদি হাসান। দুই ছক্কায় ২৮ রান নুরুল হাসান সোহানের।  বাংলাদেশ যে তবুও ১২৭ রান তুলেছে স্কোরবোর্ডে, সেটাও ইনিংসের শেষ বলে তাসকিনের দুর্দান্ত ছক্কায়।

দুর্দান্ত সুইংয়ে তাসকিন একাধিকবার পরাস্ত করেছেন ব্যাটসম্যানদের

টাইগার পেসার যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন করেছেন বোলিংয়ের শুরু। একপ্রান্ত দিয়ে নিজের বোলিং বৈচিত্র্যে চাপে ফেলেছেন পাকিস্তান ওপেনারদের, অপর প্রান্ত দিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান-মাহেদি হাসানরা তুলে নিয়েছেন উইকেট। উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাসকিনও; বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন বাবর আজমকে। এর আগেই অবশ্য ফিজের দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে বোল্ড হয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান।

ছবিঃ ইন্টারনেট
মুস্তাফিজ ছড়িয়েছেন আলো

সাম্প্রতিক সময়ে দুই ওপেনারের ওপরেই মূলত নির্ভর করে এগিয়েছে পাকিস্তান দল। দুইজনের দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরায় চাপে পাকিস্তান ক্রিকেট, আর সেই চাপটাকে কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে আরও দুই উইকেট। এরমধ্যে শোয়েব মালিকের উইকেটটার কথা আলাদাভাবে বলতেই হয়। ফিজের বলটা ডট হয়ে তখন সোহানের হাতে, পিচ থেকে ততোক্ষণে কিছুটা বেড়িয়ে এসেছেন মালিক। সেটা দেখেই সোহানের থ্রো এবং মালিকের ব্যাটটা মাটিতে পৌঁছানোর আগেই বল গিয়ে লাগে স্ট্যাম্পে!

ফাখারের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান

পাওয়ারপ্লেতেই নেই ৪ উইকেট, পাকিস্তানের প্রয়োজন একটি জুটি। সেই জুটিটাই গড়েছেন ফাখার জামান-খুশদিল শাহ। কিছুটা সময় অতিবাহিত করার পর দুই ব্যাটসম্যান যখন বড় শট খেলার অপেক্ষায়, তখনই তাসকিনের দুর্দান্ত সুইংয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ৩৪ রান করা ফাখার। শরিফুল ইসলামের বলে ৩৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন খুশদিলও। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন তখন ১৯ বলে ৩২! জয় যখন টাইগারদের সময়ের ব্যাপার মাত্র, এমন সময়ে মুস্তাফিজ-শরিফুল মিলে দুই ওভারে দিলেন ৩০! পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছয়, চার বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পাকিস্তান। মোহাম্মদ নাওয়াজ করেছেন ৮ বলে ১৮*, শাদাব খানের সংগ্রহ ১০ বলে ২১*। বাংলাদেশের হয়ে ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img