অলক কাপালির নাম মনে করলে সবার আগে চোখে কি ভাসে? নিশ্চয়ই ২০০৩ সালে পেশোয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের হ্যাটট্রিক! টেস্ট ক্যারিয়ারে মাত্র ৬টি উইকেটের মালিক হওয়ার পরও হ্যাটট্রিক করার কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসেই নেই কারোর। কিন্তু, অলকের মূল পরিচয় তো ব্যাটসম্যান হিসেবে! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১১ সালে, এখনও খেলে যাচ্ছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট।
সেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই গড়েছেন রেকর্ড, বাংলাদেশের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে করেছেন ৯০০০ রান। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক যিনি, সেই তুষার ইমরানের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর দিনে ‘ক্রিকেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের’ পক্ষ থেকে অলক কাপালিকেও দেয়া হয়েছে সম্মাননা। শুধুমাত্র অলক কাপালিকেই নয়, সম্মাননা দেয়া হয়েছে আরও একজনকে; তিনি, ‘এনামুল হক জুনিয়র’।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক এনামুল হক জুনিয়রকে সম্মাননা প্রদানের কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। প্রথম এবং সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি যিনি, সেই আব্দুর রাজ্জাকও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর অপেক্ষায় থাকা এনামুলকে হাত তালির মাধ্যমে স্বাগত জানিয়েছে রংপুর এবং সিলেট দলের খেলোয়াড়েরা।
সাভারের ৩ নম্বর মাঠে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে খেলতে নামার পূর্বে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অলক কাপালির সংগ্রহ ৩৪ গড়ে ৯১৩০ রান, এনামুল হক জুনিয়রের উইকেটসংখ্যা ১৩৭ ম্যাচে ৫০১। ইতোমধ্যেই রংপুরের বিপক্ষে চলমান ম্যাচে নাইম ইসলামের উইকেটতুলে নিয়েছেন এনামুল।