খেলা হয়তো স্টেডিয়াম বা টিভির সামনে বসা প্রতিটি দর্শকের মনে হচ্ছে, এই ওভারটিতে এতো ভালো বোলিং না করলেই পারতেন রিয়াদ! এরচেয়ে প্রথম দুই বলে দুই বাউন্ডারি খেয়ে হারলেও তো ভালো ছিল!
মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বোল্ড করে অভিষেক ম্যাচে উইকেট নিয়ে যখন উল্লাস করছেন শহীদুল ইসলাম, তখনও ম্যাচ সম্পূর্ণ পাকিস্তানের হাতে। ২৯ বলে ৪২ লাগে হাতে ৮ উইকেট! প্রায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই জিতে যাওয়া ম্যাচ। সেই ঘুম থেকে যেন পাকিস্তানকে ধাক্কা দিয়েই জাগিয়ে তুললেন রিয়াদ শেষ ওভারে!
প্রথম বল ডট, পরের দুই বলে হায়দার আলী ও সরফরাজ আহমেদকে আউট। পরের বলে যদিও ইফতিখার মারলেন ছক্কা, তবে তার পরের বলটিই শর্ট থার্ডম্যানে গেলো ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে। এক ম্যাচেও মাঠে নামতে না পারা রাব্বি বদলি হিসেবে নেমে হয়তো ভাবছিলেন তার এই ক্যাচেই বাংলাদেশ জিতে যাবে ম্যাচ!
১ বলে ২ রান। উত্তেজনায় তখন কাঁপছে মিরপুর। মাঝখানে নেওয়াজ ও রিয়াদের সামান্য মানসিক দ্বন্দ্বও হয়ে গেলো। বল ডেলিভারি হলো, নেওয়াজের স্ট্যাম্পও ভাংলো! এরপর নেওয়াজ জানালেন তিনি নাকি রেডী ছিলেন না! খানিক্ষন বচসার পর সেটা মেনে নিলেন রিয়াদ। তবে পাল্টা জবাব হিসেবে নেওয়াজকে বিভ্রান্ত করতে আবার রিয়াদও পরের বল করতে গিয়ে থেমে গেলেন!
নাটক যেন শেষই হয়না! কি হয় কি হয়? যা হলো তা হচ্ছে ডাউন দা ট্র্যাকে এসে শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকালেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। ম্যাচ জিতে নিলো পাকিস্তান। সাথে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশও পূর্ণ করলো মেন ইন গ্রিনরা। সহজ ম্যাচ কঠিন করে জেতা বলাই যায়, তবে বাংলাদেশের জন্য হলো নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ!