প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে লিটনের অর্ধশতক; খাদের কিনায়ায় থাকা বাংলাদেশকে নিচ্ছেন দক্ষতার সাথে এগিয়ে। কয়েকদিন আগেই যারা গালি দিচ্ছিলেন লিটনকে, আজ তারাই তাঁকিয়ে আছে তার দিকে। ক্রিকেটের সৌন্দর্যতাটাই তো এখানে। আর, এই সৌন্দর্যের সবচেয়ে বড় পূজারি কোনো সন্দেহ ছাড়াই এইমুহুর্তে লিটন।
লিটন ফিরতে পারতেন ৮ রানেই। নোমান আলীর বলে সিলি পয়েন্টে দাড়ানো আবিদ আলী যদি ক্যাচটা নিতে পারতেন কিংবা পরের বলেই মোহাম্মদ রিজওয়ান যদি করতে পারতেন স্ট্যাম্পিং! ভাগ্যদেবী চট্টগ্রাম টেস্টের পুরোটা জুড়েই লিটনকে দিয়ে গেছেন সমর্থন, আর তাতেই বারবার বেঁচে গেছেন টাইগার উইকেটকিপার।
কিন্তু, জীবন পেয়ে কতজনই বা পারেন ইনিংসটাকে বড় করতে! এখানটাতেই বোধহয় লিটনরা ব্যতিক্রম। জীবন পেয়ে ঠিকই পাকিস্তান দলকে বুঝিয়েছেন কতবড় ভুল করেছে তারা। এখন শুধু অপেক্ষা কতটা ভুগতে হয় বাবর আজমদের সেটাই দেখার।