৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার

আমরা খেলার কন্ট্রোলে কখনোই ছিলাম না: মুমিনুলের হতাশ কন্ঠ

- Advertisement -

যদিও বাংলাদেশ ৮ উইকেটেই হেরেছে, তবুও নিখাদ টেস্ট ক্রিকেট রোম্যান্টিকরা একেবারেই নিরপেক্ষভাবে দেখলে অবশ্যই বলবেন যে এই টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বেশ চরম। খেলার মোড় বারবার ঘুরেছে, পেন্ডুলামের মতো একবার বাংলাদেশের দিকে আরেকবার পাকিস্তানের দিকে গেছে ম্যাচ। তবে মুমিনুল হককে জিজ্ঞাসা করুন, তিনি বলবেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ নাকি খেলায় কখনো ছিলোই না।

চট্টগ্রাম টেস্টের শেষদিনে প্রথম সেশনে পাকিস্তান জিতে যাওয়ার পর বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের কন্ঠে ঝড়লো ক্ষোভ। তাঁর মতে ম্যাচে মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে দুই দলের টপ অর্ডারের ব্যাটিং। দুটি ইনিংসেই শতাধিক রানের পার্টনারশিপ গড়েছে পাকিস্তানের দুই ওপেনার, অপরদিকে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ছিলো তাসের ঘর।

“আমার কাছে মনে হয় যে ম্যাচের কন্ট্রোলে আমরা কখনোই ছিলাম না। লিটন ও মুশফিক ভাই অসাধারণ ব্যাটিং করেছে, তাইজুল ভালো বোলিং করেছে। ঐটুকু দিয়েই আমরা গেমের মধ্যে ছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে যদি টপ অর্ডারের চারজন ভালো রান করতাম তাহলে হয়তো ওদের একটু চ্যালেঞ্জ জানানো সম্ভব ছিলো।”

“প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম ৪ উইকেট পড়েছে ৪৯ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানে। প্রতিদিন যদি এমন হয় তাহলে তো ভালো করা সম্ভব না”

এই চার উইকেটের ভেতর নিজেও পড়েন মুমিনুল। দুই ইনিংসে করেছেন ৬ ও ০। তাও সেই স্টেডিয়ামে যেখানে তাঁর ব্যাটিং গড় প্রায় ‘ব্র্যাডম্যানীয়’। নিজের অবদান রাখার ব্যর্থতাও অকপটেই স্বীকার করেছেন

“ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার আরেকটু ভালো ব্যাটিং করা দরকার ছিলো। আমি যদি একটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতাম তাহলে হয়তো আরেকটু ভালো অবস্থানে থাকতাম। শুধু টেস্ট না, যেকোন ম্যাচেই যদি শুরুর ১০ ওভারে ৪ উইকেট পড়ে যায় তাহলে পরের দিকে যত ভালোই ব্যাট করুক বড় স্কোর করা সম্ভব হয়না। তাও আমাদের ভাগ্য ভালো যে তাইজুল আউটস্ট্যান্ডিং বোলিং করেছে তাই আমরা চতুর্থ দিন পর্যন্তও ম্যাচে ছিলাম।”

সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের আভাসও দিয়েছেন মুমিনুল।

“পরিকল্পনা সবসময়ই থাকে। ঢাকায় গিয়ে উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

 

 

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img