বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হার। খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট, ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থক সকলেই হতাশ। সেই হতাশা নিয়েই চট্টগ্রামে পাড়ি জমায় টাইগাররা। সেখানেও আসেনি কাঙ্ক্ষিত জয়; শেষদিনে করতে হয়েছে অসহায় আত্মসমর্পন।
এবার লক্ষ্য ঢাকা; নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পাওয়ার জন্য হলেও প্রয়োজন একটা জয়ের। সেই জয়টা পেতে হলে ভালো করতে হবে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদেরও। ব্যাটিং নিয়ে যে খুশি নন ম্যানেজমেন্ট, সেটা তো অধিনায়কের কথাতেই স্পষ্ট।
“প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রথম ৪ উইকেট পড়েছে ৪৯ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানে। প্রতিদিন যদি এমন হয় তাহলে তো ভালো করা সম্ভব না। যেকোনো ম্যাচেই যদি শুরুর ১০ ওভারে ৪ উইকেট পড়ে যায় তাহলে পরের দিকে যত ভালোই ব্যাট করুক বড় স্কোর করা সম্ভব হয়না।”
ব্যাটিংয়ের কথা নাহয় গেলো, কিন্তু বোলিং? বোলিংয়ে এক তাইজুল ইসলাম ছাড়া পাকিস্তান ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তিতে ফেলতে পারেননি কেউই। স্বস্তির বিষয় ঢাকা টেস্টে একাদশে ফিরতে পারেন সাকিব আল হাসান, তাতে টাইগাররাও নিশ্চিতভাবেই পাবেন বাড়তি ভরসা। অধিনায়কও বেছে নিতে পারবেন সেরা একাদশ, চাইলেই খেলাতে পারবেন একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারকে। সাকিব যে একের ভেতরেই দুই!
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ার কারণে জয়টাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর, সেই জয়টা পেতে হলে টাইগারদের ফিরিয়ে আনতে হবে আত্মবিশ্বাস, খেলে যেতে হবে স্বাচ্ছ্যন্দে। চট্টগ্রামে হয়নি, ঢাকায় তো ভালো কিছু হতেই পারে!