বলা হয়, টি-টোয়েন্টি শক্তির খেলা। অথচ, বাংলাদেশে ‘টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্ট’ ক্রিকেটারের যে বড্ড অভাব! ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের একের পর এক হার এবং বেশি রান তুলতে না পারার অন্যতম কারণ দলে পাওয়ার হিটারের অভাব। সম্প্রতি বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জেমি সিডন্স চান পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করতে। তাঁর বিশ্বাস বাংলাদেশেও পাওয়ার হিটার তৈরি করা সম্ভব, তবে দিতে হবে পর্যাপ্ত সময়।
“আমার ইচ্ছা প্রধান কোচের সঙ্গে পরামর্শ করে ফিটনেস ট্রেনারের সহায়তায় পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করার। বাংলাদেশেও পাওয়ার হিটার তৈরি করা সম্ভব”- ‘প্রথম আলো’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন সিডন্স
অভিজ্ঞ এই কোচ খুব ভালোভাবেই জানেন রাতারাতি এ দেশে কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেলের মতো পাওয়ার হিটার তৈরি করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সময়, সঠিক পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন। এই দিকগুলো মাথায় রেখেই মুশফিক-সাকিব-রিয়াদদের মতো পুরনো শিষ্যদের পাশাপাশি লিটন-সৌম্যদের মতো নতুন শিষ্যদের সাথে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে চান সিডন্স, “এখন তো বাউন্ডারিই টি–টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায়, জোরে মারতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে গিয়ে কাজ শুরু করার পর আমি প্রথমে সব ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং মূল্যায়ন করবো, ব্যাটসম্যানদের পরামর্শ দেবো। আমি খেলোয়াড়দের কথাও শুনব, কোথায় কোথায় তাদের সমস্যা হয় জানবো।“
তবে, বাংলাদেশ দলে ভালমানের ব্যাটার গড়ে তুলতে ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতা বাড়ানোটা অত্যন্ত জরুরী বলেই মনে করেন জেমি সিডন্স; ব্যাটারদের দিতে চান পর্যাপ্ত সময়ও, “দেশের বাইরে ভালো দলের বিপক্ষে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা অর্জন করতে তাদের হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে ওদেরকে সে জায়গায় নিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য থাকবে।“