২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়’

- Advertisement -

ক্রাইস্টচার্চের পিচ সবুজ ঘাসে ভরা, উপমহাদেশের সাথে একদমই মেলে না। তাই বলে বোলারদের সামলানো যাবে না এমনটা কখনোই নয়। কিন্তু, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাটিং করে চলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে ব্যাট হাতে দাড়াতে পারাটাই অনেক বড় ব্যাপার। অথচ, এই পিচেই রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তর্কের খাতিরে বলা যেতেই পারে ওরা স্বাগতিক তাই এমন পারফরম্যান্স! আসলেই কি তাই?

টাইগারদের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। জাতীয় দলে খেলা প্রত্যেকেই সামর্থ্য আছে বলেই ঐ জায়গায়। কিন্তু, মনের ভয় কি সামর্থ্যে দূর হয়? নাঈম শেখ-সাদমান ইসলামরা যেভাবে আউট হয়েছেন তাতে মনের ভয়টাই সবার আগে চোখে পড়েছে, ব্যাটিংয়ের সমস্যা নয়। প্রথম ওভারেই টিম সাউদিকে সাদমানের মেরে খেলার চেষ্টা। সাত রান ঠিকই এসেছে, সেইসাথে মনে জেগেছে শঙ্কাও। শঙ্কাটা যে অযৌক্তিক ছিল না তার প্রমাণ মেলেছে পরের ওভারেই। ট্রেন্ট বোল্ট প্রথম বলটাই করলেন প্যাড লক্ষ্য করে, কোনো সুইং না করিয়েই। দ্বিতীয় বলে একই জায়গা থেকে খানিকটা আউটসুইং করালেন। আর তাতেই স্লিপে সাদমানের ক্যাচ। একজন ব্যাটসম্যান স্লিপে আউট হতেই পারেন, কিন্তু বলটা ব্যাটে লাগাবেন কি লাগাবেন না এই দ্বিধা নিয়ে কেন?

সাউদি এবং বোল্ট মিলে ১২ ওভারেই তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট

নাঈম শেখের অভিষেক ম্যাচ, প্রথম ইনিংস শূন্যতেই শেষ। প্রথম বলেই নিউজিল্যান্ড শিবিরের পক্ষ থেকে এসেছিল আউটের আবেদন। সেই যাত্রায় বেঁচে গেলেও ওভারের শেষ বলে হয়নি রেহাই। একটু বাউন্স উঠতে যাওয়া বলটাকে যেভাবে সামলানোর চেষ্টা করে বোল্ড হলেন বাঁহাতি ওপেনার তাতে করে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিটা একদম স্পষ্ট। শান্তও অনুসরণ করেছেন সাদমানকে; একই বোলার, উইকেটের ধরণটাও একইরকম। মুমিনুল হক, লিটন দাসের উইকেটটাও ছিল ভীষণ দৃষ্টিকটু; তারা নিজেরাও হয়তো ভুলে যেতে চাইবেন এই ম্যাচে তাদের ব্যাটিং।

ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ, এখান থেকে হারটাও দিচ্ছে উঁকি। এই টেস্টে ড্রও হয়তো জয়ের আনন্দ দেবে, কিন্তু মনে ভয় আর আত্মবিশ্বাস তলানীতে আর কতকাল?

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img