২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার

প্রত্যাবর্তনে ম্যাচ সেরা সাকিব, বাংলাদেশের জয়

- Advertisement -

সাকিবের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে সাকিবই হয়ে থাকলেন সেরা পারফর্মার। সেরাদের প্রত্যাবর্তনটা মনে হয় এমনই হয়ে থাকে। এ দিনটার জন্য অপেক্ষা এক বছরের বেশি সময়। সাকিবের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন অভিষিক্ত মাহমুদ হাসান। এই বোলিং জুটির কাছেই মূলত কুপোকাত হয়েছেন ক্যারিবিয়ানরা। উইন্ডিজদের ইনিংস টিকে মাত্র ৩২ ওভার দুই বল।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবিয়ানদের ধ্বস নামানোর শুরুটা করেন মুস্তাফিজ। ওপেনার সুনীল অ্যাম্ব্রিসকে এলবির ফাঁদে ফেলেন নিজের প্রথম এবং ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি। এরপরই বেরসিক বৃষ্টি। কিন্তু বৃষ্টিও সময়মতো বিদায় নিয়েছে। তারপর আবারও ফিজ ঝলক। ৬ষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে জশুয়া দ্য সিলভা কাট করেন কিন্তু গালিতে দাঁড়ানো লিটন দাস বাজ পাখির মতো উড়ে এসে তালুবন্দি করেন। উইন্ডিজেদর স্কোর তখন ২৪ রানে দুই উইকেট।

মুস্তাফিজের পেস সামলাতে হিমশিম খাওয়া ক্যারিবিয়ানরা আরো বিপদে পড়ে সাকিবের স্পিন ভেল্কিতে। পরের দুই ব্যাটসম্যান জেসন মোহাম্মদ আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে উইকেটে জমে যাওয়ার আগেই বিদায় করেন। সাকিবের জোড়া আঘাতে বড় ক্ষত সৃষ্টি হয় উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনে। সাকিবের কিপটে বোলিংয়ে দিশেহারা উইন্ডিজরা পরের উইকেটটাও দিয়ে যায় এই অলরাউন্ডারকে।

৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে কিছুটা সময় লড়াই করেন কাইল মেয়ার্স এবং রোভম্যান পাওয়েল। ৫৯ রান জমাও করে ফেলেন এই জুটি। অভিষেক রাঙাতে দ্বিতীয় স্পেলের অপেক্ষায় ছিলেন হাসান মাহমুদ। জোড়া আঘাতে ক্যারিবিয়ানদের প্রতিরোধ তছনছ করে দেন। রোভম্যান পাওয়েল এবং রেইফারকে পরপর দুই বলে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন এই পেসার।

যদিও নিজের পরের ওভারে আরো এক উইকেট নিয়ে দিনের দ্বিতীয় সেরা বোলার হয়েছেন। সাকিবের দিনে স্পিনার মিরাজের কি বা করার আছে। তারপরও সর্বোচ্চ রান করা কাইল মেয়ার্সকে ৪০ রানে ফিরিয়েছেন মিরাজ। ক্যারিবিয়ানেদর ইনিংসের সমাপ্তি টানেন সাকিব আল হাসান। আল জারি জোসেফকে বোল্ড করে। ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস শেষ ১২২ রানে। ৭ ওভার দুই বল করে দুই মেডেন, ৮ রান দিয়ে চার উইকেট বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের। এর চেয়ে স্মরণীয় প্রত্যাবর্তন আর কি হতে পারে?

নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে তামিমের শুরু। তাই দেখে শুনেই ছোট টার্গেটে ব্যাট চালিয়েছেন। কিন্তু ১২৩ রান অনয়াসে তুলতে দেয়নি ক্যারিবিয়ান বোলাররা। ওপেনিং জুটি তারা বিচ্ছিন্ন করেন বাংলাদেশের ৪৭ রানে। লিটন দাসের তখন ১৪ রান। সাকিবের পরিবর্তে তিনে নামা শান্ত চাপ নিতে পারলেন না। মাত্র এক রান তাঁর ব্যাটে। তামিম-সাকিবই শেষ করতে পারতেন খেলাটা। কিন্তু একটু তাড়াহুড়োতে স্বাগতিকরা হারিয়েছে এ দু’জনকে। তামিম ৪৪ আর সাকিব করেন ১৯ রান। শেষটা করেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। ৬ উইকেটের জয়েও একটু অস্বস্তি থেকে গেল ব্যাটিংটা নিয়ে?

তারপরও তামিমের শুরু, সাকিবের প্রত্যাবর্তন, প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশেরও প্রত্যাবর্তন, জয় দিয়ে নতুন বছর শুরু। সবমিলিয়ে রোমাঞ্চকর শুরু টাইগারদের। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ মুখোমুখি হবে শুক্রবার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: উইন্ডিজ ১২২ (কেইল মেয়ার্স ৪০, পাওয়েল ২৮) সাকিব ৪/৮, হাসান মাহমুদ ৩/২৮

বাংলাদেশ ১২৫/৪ ( তামিম ৪৪, সাকিব ১৯, মুশফিক ১৯*)

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img