একাদশে নেই আর্লিং হালান্ড, কেভিন ডি ব্রুইনা। অথচ ম্যানচেস্টার সিটির একের পর এক আক্রমণে টিকতেই পারল না অ্যাস্টন ভিলা। আগেই ম্যাচেই ঘরের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র, এর আগে লিভারপুলের সঙ্গেও ১-১ গোলে ড্র করেছিল সিটিজেনরা। দুই ম্যাচ পর আবারও জয়ের ধারায় ফিরল বর্তমান শিরোপাধারীরা। ইতিহাদে ইংলিশ ফুটবলার ফিল ফোডেনের হ্যাটট্রিকে উনাই এমেরির দলকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল।
ম্যাচের ১১ মিনিটেই সিটিজেনদের প্রথম লিড এনে দেন রদ্রি। ডান দিক থেকে জেরেমি ডকুর দারুণ ক্রসে ছুটে গিয়ে দ্রুতগতিতে বল জালে জড়ান স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার। অবশ্য সমতা ফেরাতেও খুব বেশি সময় নেয়নি ভিলা। ১৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে হুন দুরানের গোলে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে অসাধারণ এক ফ্রি কিক শটে ম্যানসিটিকে এগিয়ে নেন ফিল ফোডেন। ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গার্দিওলার শিষ্যরা।
মাত্র এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় গার্দিওলা সম্ভবত হালান্ড এবং ব্রুইনাকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনাই করছিলেন। দুজনই ডাগ আউটে ওয়ার্ম আপ শুরু করেছিলেন। তখনই শুরু হয় ফোডেন ঝড়। দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এই ইংলিশ তারকা। রদ্রির কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান আরও একবার।
ফোডেন এখানেই থামেননি। আট মিনিট পরেই নিজের হ্যাটট্রিক গোল পূরণ করেন ইংলিশ তারকা। ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শটে পেয়ে যান তৃতীয় গোলের দেখা। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৪ ম্যাচে সিটির হয়ে এটি ফোডেনের ২১তম গোল। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
অবশ্য অ্যাস্টন ভিলাকে উড়িয়ে দিলেও পয়েন্ট টেবিলে ম্যানচেস্টার সিটির কোনো পরিবর্তন আসেনি। ৩০ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান এখনও তিন নম্বরেই। এক ম্যাচ কম খেলে দুই গোলের পার্থক্যে দুই নম্বরে লিভারপুল। অপরদিকে, একই দিনের আরেক ম্যাচে লুটন টাউনকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষেই আছে আর্সেনাল।