গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচে তিন জয়! বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রয়োজন ছিল যা, তা হলো টপঅর্ডার ব্যাটারদের রানে ফেরা। আশার কথা, নাজমুল হোসেন শান্ত রান পেয়েছেন, তবে ওয়ার্নার-হেডরা যেভাবে খেলেছেন তার সাথে তুলনা করলে শান্তর ইনিংসকে টি-টোয়েন্টিসুলভ বলার সুযোগ নেই। লিটন, তানজিদ তামিম, সাকিব আল হাসানরাও ব্যর্থ।
সুপার এইটে অত্যধিক চাপ না থাকার পরও ব্যাটাররা কেন বড় ইনিংস খেলতে পারছে না, সেই উত্তর জানা নেই টাইগার ক্যাপ্টেনেরও, “কেন পারছি না, সেটা বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয়, দলের সবার বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য আছে। অতীতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় করেও দেখিয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপে কেন হচ্ছে না, এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে তার স্বাভাবিক খেলাটা খেলার স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই হচ্ছে না।”
পরের দুই ম্যাচ ভারত এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেই দুই ম্যাচেও যদি এভাবেই ব্যাটিং করে সবাই, তাহলে ভালো কিছুর আশা করা কঠিন মানলেন শান্তও, “দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। দুটি ম্যাচই জিততে পারলে আমরা আরও ভালো অবস্থানে যাব। অবশ্যই প্রত্যেক ম্যাচই আমরা জেতার জন্য খেলব। দলের কাছে আমার চাওয়া, সবাই যেন স্বাধীনভাবে খেলে। কিন্তু এখন যেভাবে ব্যাট করছি, তা আবার করলে জয় পাওয়া খুব কঠিন।”