ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পর্তুগালকে ২-০ গোলে হারাল জর্জিয়া। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জিতে পর্তুগাল আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করলেও ম্যাচটি জজর্জিয়ার জন্য ছিল বাঁচামরার লড়াই। শেষ পর্যন্ত ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে গ্রুপ এফ থেকে তৃতীয় হয়েই শেষ ষোলো নিশ্চিত করল জর্জিয়া। প্রথমবার মেজর কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে এসেই নকআউট পর্বে ওঠার ইতিহাস গড়েছে দলটি। আর হেরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পর্তুগিজরা, দ্বিতীয় দল হিসেবে আছে তুরস্ক।
দলে একগাদা পরিবর্তন এনে ম্যাচের ২ মিনিটের মধ্যেই গোল হজম করে পর্তুগাল। ডি-বক্সের ভেতর থেকে নাপোলির মিডফিল্ডার কাভিচা কাভারেসখেলিয়ার বাঁ-পায়ের শটে বল জড়ায় জালে। এরপর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল টানা আক্রমণ চালাতেও ঠাণ্ডা মাথায় নিজেদের রক্ষণভাগ সামলেছে জর্জিয়া। ম্যাচের ১৯ মিনিটে অবশ্য পর্তুগালের দিয়াগো দালোতের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪ মিনিট পর পালিনহার শটও রুখে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে ডি-বক্সে রোনালদোর জার্সি টেনে ধরলেও পেনাল্টি না দেয়ায় রেফারির সাথে তর্কে জড়ান তিনি। ফলে হলুদকার্ড দেখেন আল নাসরের এই তারকা। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে জোয়াও ফেলিক্সের দূরপাল্লার শটও জর্জিয়ার গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতি যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে ৪৭ মিনিটে দানিলোর শট একটুর জন্য গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৫০ মিনিটে গোলের সুযোগ পান জর্জিয়ার কাভারেসখেলিয়া। তবে শট জোরালো না হওয়ায় বল তালুবন্দী করেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক। ৫৫ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর লোকোশভিলিকে ফাউল করে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেন পর্তুগালের এন্তনিও সিলভা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মাকুতাদজে। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৩ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন মাকুতাদজে।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে রোনালদোকে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন গনসালো রামোস। শেষ দিকে কিছু সুযোগ পেলেও আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের পরিকল্পনাহীনতায় আর গোলের মুখ দেখেনি পর্তুগিজরা। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জর্জিয়া।