উইম্বলডনের ফাইনালে কার্লোস আলকারাজের মুখোমুখি হবেন নোভাক জোকোভিচ। রোববারের ফাইনালটি সার্বিয়ান তারকা জোকোভিচের কাছে প্রতিশোধেরও। গত বছর এই আলকারাজের কাছেই ফাইনালে হেরেছিলেন জোকোভিচ। এবারের ফাইনালটা সার্বিয়ান মহাতারকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জোকোভিচের সামনে হাতছানি দিচ্ছে রেকর্ড ২৫টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সুযোগ।
সেমিফাইনাল জিততে অবশ্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি জোকোভিচের। সেন্টার কোর্টে লরেঞ্জো মুসেত্তিকে ৬-৪, ৭-৬ (৭-২) ও ৬-৪ গেমের সরাসরি সেটে উড়িয়ে দেন তিনি। উইম্বলডনে এনিয়ে দশমবার ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন এই সার্বিয়ান তারকা।
ফাইনালে আলকারাজকে হারাতে পারলে নতুন ইতিহাসও গড়বেন জোকোভিচ। নারী ও পুরুষ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা মার্গারেট কোর্টকে পেছনে ফেলে এককভাবে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা খেলোয়াড় হবেন তিনি। দুজনেরই এখন সমান ২৪টি করে গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা।
পাশাপাশি শিরোপা জয়ে কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের পাশে বসারও সুযোগ পাচ্ছেন জোকোভিচ। ১০টি উইম্বলডন জিতে সবার উপরে ফেদেরার, জোকোভিচের উইম্বলডন শিরোপা ৯টি।
তবে জোকোভিচের জন্য কাজটা মোটেও সহজ হবে না। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন আলকারাজ। গত ফাইনালে দারুণ লড়াই করার পরও আলকারাজের কাছে হেরেছিলেন জোকোভিচ। এবারও কি সেই পুনরাবৃত্তি হবে? জোকোভিচ বলেন, “তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে সে দারুণ এক উদাহরণ যার কোর্ট ও কোর্টের বাইরের জীবনটা ভারসাম্যপূর্ণ । তার মধ্যে প্রচুর ক্যারিশমা আছে, এ কারণে লোকে তাকে পছন্দ করে”
দেখা যাক, আলকারাজকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে পারেন কি না জোকোভিচ।