টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে পাকিস্তান শাহিনসের কাছে ৩ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে বিসিবি হাইপারফর্ম্যান্স ইউনিট। এই হারে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে নেমে গেল আফিফ হোসেন ধ্রুব-আকবর আলীরা।
গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান টেরিটরির বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল যুবারা। সেই ম্যাচে দারুন এক ফিফটি করেছিলেন জিসান আলম। তবে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে হাসেনি ডানহাতি এ ব্যাটারের ব্যাট। শূন্য রান করে এদিন প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন তিনি।
আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমও পারেননি টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে। ১৯ বলে করেছেন মাত্র ১৮ রান। শুরুটা দারুণ করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। তার আগে ২০ বলে ২৭ রান করেছেন ইমন।
অস্ট্রেলিয়া সফরে গত ম্যাচগুলোতে হাসেনি আফিফের ব্যাট। এদিন ব্যর্থ হয়েছেন বাঁহাতি এ ব্যাটার। ৬ বল করতে পেরেছেন মাত্র ৪ রান। আকবরও আউট হয়েছেন দ্রুত।
তবে বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দিয়েছেন শামীম ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৮৩ রানের জুটিতে ১৪১ রানের সংগ্রহ পায় এইচপি। শামীম অপরাজিত ছিলেন ৩৮ বলে ৪৪ রান করে, রাব্বির সংগ্রহ অপরাজিত ৪১ রান।
রান তাড়ায় পাকিস্তানকে শুরুটা ভালো এনে দেন শাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিস। একপ্রান্তে হারিস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও ফারহান খেলেছেন দেখেশুনে। ফারহানকে রান আউট এইচপিকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন রাকিবুল হাসান। এরপর হারিসও ফিরেছেন রান আউট হয়ে। তার আগে ১৮ বলে খেলেছেন ৩২ রানের ইনিংস।
তিনে নেমে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি আব্দুল ফাসিহ। তবে পাকিস্তানকে বিপদে পড়তে দেননি ওমারইর বিন ইউসুফ। ২৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তিনিও ফিরেছেন রান আউট হয়ে। এরপর দ্রুত তিনটি উইকেট নিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল এইচপি। তবে মোহাম্মাদ ইরফান খান ও জাহানদাদ খান পাকিস্তানকে উদ্ধার করেছেন। দুজনে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ৬ বলে ৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইরফান, জাহানদাদ খানের সংগ্রহ অপরাজিত ৭ বলে ১১ রান।
এইচপির হয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, রাকিবুল হাসান, রিপন মন্ডল ও রাব্বি।