খুলনা বিভাগের ব্যাটসম্যানদের যমদূত হয়ে উঠেছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে ২০ বছর বয়সী পেসারের বোলিং তোপে নাকাল খুলনার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা। জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ঘরের মাঠে প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও মুগ্ধ নিয়েছেন ৬ উইকেট।
তৃতীয় দিন শেষে জয়ের পথেই নাসির হোসেনের রংপুর বিভাগ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মুকিদুল ইসলামের বোলিং তোপে ২৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস। ২০ ওভার বল করে মুকিদুল নিয়েছেন ৬ উইকেট। ১১৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে রংপুর, তবে আলোক স্বল্পতার কারণে বদ্ধ হয়ে যায় তৃতীয় দিনের খেলা। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য রংপুর বিভাগকে করতে হবে ১০১ রান হাতে আছে ১০ উইকেট।
স্কোর: খুলনা বিভাগ ২২১/১০ ও ২৫৯/১০ ( অমিত মজুমদার ৮৯, জিয়াউর রহমান ৬৪, মুকিদুল ইসলাম ৬/৬৭), রংপুর ৩৬৪/১০ ও ১৬/০ ( জাহিদ জাভেদ ১৪*, নাবিন ইসলাম ১*)
কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে ঢাকা বিভাগ। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা সুভাগত হোম দিনের শুরুতেই দেখা পেয়েছেন শতকের। ১৩৩ বলে ১১৪ রানে করে শুভাগত আউট হওয়ার পর ঢাকার ইনিংস থামে ২৮০ রানে। ৭ উইকেট নিয়ে ঢাকা বিভাগকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সিলেটের রাহাতুল ফেরদৌস।
বাঁ হাতি স্পিনার রাহাতুলের ঘূর্ণিতে দিশেহারা ছিলেন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ইনিংসের পর সিলেটের দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠেছেন আসাদুল্লাহ আল গালিব, তিনি অপরাজিত আছেন ৭৪ রানে। তৃতীয় দিন শেষে সিলেটের লিড ২৭৩।
স্কোর: সিলেট বিভাগ ৩৭০/১০ ও ১৮৩/৬ ( আসাদুল্লাহ আল গালিব ৭৪*, তানজিম হাসান ২৪*) ঢাকা বিভাগ ২৮০/১০ (শুভাগত হোম ১১৪, রাহাতুল ফেরদৌস ৭/৭৫)
পিনাক ঘোষের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৪০২ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম বিভাগ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রানেই অল-আউট হয় ঢাকা মেট্রো, দলের হয়ে সবোর্চ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন জাহিদুর জামান খান। চট্টগ্রামের হয়ে ৭২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে চট্টগ্রাম, ১৭৮ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
স্কোর: চট্টগ্রাম বিভাগ ৪০২/৮ডি ও ৪৩/১ ( পিনাক ঘোষ ১৫৯, শাহদাত হোসেন ৫৩), ঢাকা মেট্রো ২৬৭/১০ ( হাসান মুরাদ ৫/৭২)