২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার

অবশেষে একটি ম্যাচ ‘হারলো না’ ইংল্যান্ড

- Advertisement -

স্কট বোল্যান্ডের বলটি জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটেও লাগলো, পায়েও লাগলো এরপর উড়ে গেলো সিলি পয়েন্টে ওঁত পেতে থাকা মারনাস লাবুশেনের হাতে। শেষ কবে কোন পেসারের বলে কোন ব্যাটার সিলি পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন কোন ব্যাটার তা মনে করা কষ্টকর।

তবে এই অভূতপূর্ব ঘটনার পর ইংল্যান্ডের টেইলএন্ডারদের কাঁধেও এমন দায়িত্ব চাপে, যেটি করতেও নিকট অতীতে চরমভাবেই ব্যর্থ হয়েছে ইংল্যান্ড। বাকি ১২ ওভার খেলে এই অ্যাশেজে কোনমতে একটি ম্যাচ বাঁচানো। ২ ওভার বাকি থাকতে স্টিভ স্মিথের বলে জ্যাক লিচ আউট হলে খেলা আরও জমে যায়। শেষ ১২ বলের টানটান উত্তেজনা। বিশেষ করে শেষ ৬ বলে যেখানে স্ট্রাইকে ছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন, যিনি তর্কযোগ্যভাবে ইংল্যান্ডের দূর্বলতম ব্যাটার। তবে ভাগ্য বলতে হবে, ওভার রেটের কারণে পেসারদের দিয়ে বল করানোতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আম্পায়ার। শেষ ওভার তাই করতে হলো পার্টটাইমার স্টিভ স্মিথকে, ছাতার মতো ফিল্ডার দিয়ে আবৃত হয়ে ৬টি বল কোনমতে ঠেকিয়ে দিলেন জিমি। ম্যাচ হলো ড্র।

হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারে ইংল্যান্ড। অ্যাশেজ তো আগেই হারিয়েছে, অবশেষে এমন একটি ম্যাচ গেলো যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের লজ্জা পেতে হয়নি ইংলিশদের।

শেষ দেড়দিনে ৩৮৮ রানের টার্গেট ইংল্যান্ড তাড়া করবে না সেটি বলাই বাহুল্য ছিলো। লক্ষ্য ছিলো ড্র করা এবং জ্যাক ক্রলির ৭৭ ও বেন স্টোকসের ৬০ রানের কল্যাণে ভালোভাবেই সেদিকে ছুটছিলো ইংল্যান্ড। এই দুজনের আউটের পরও জনি বেয়ারস্টো ও জস বাটলার ছিলেন। তবে ২১৮ রানে এক বলের ব্যবধানে জস বাটলার ও মার্ক উডকে তুলে নিয়ে প্যাট কামিন্স খেলা জমিয়ে দেন। এরপর জস বাটলারের আউটে শেষ স্বীকৃত ব্যাটারকেও হারায় ইংল্যান্ড। সব চাপ গিয়ে পড়ে টেইলএন্ডারদের ওপর।

এর আগে প্রথম ইনিংসে উসমান খোয়াজার সেঞ্চুরিতে ৪১৬ রানের পাহাড়ে চড়ে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড নিজেদের ১ম ইনিংসে ফলো অন এড়ালেও লিড নিতে পারেনি, অলআউট হয় ২৯৪ রানে, জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শতক হাঁকান খোয়াজা। আগের দুইবছর যিনি জাতীয় দলের ধারেকাছে ছিলেননা, ফিরেই অ্যাশেজে একই ম্যাচে টানা দুই ইনিংসে শতক হাঁকানো বিরল ব্যাটারদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন, ৬ উইকেটে ২৬৫ করে ডিক্লিয়ার দেয় অস্ট্রেলিয়া।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস- ৪১৬/৮ ডিক্লিয়ার (খোয়াজা ১৩৭, স্মিথ ৬৭; ব্রড ৫/১০১)

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস- ২৯৪/১০ (বেয়ারস্টো ১১৩, স্টোকস ৬৬; বোল্যান্ড ৪/৩৬)

অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস- ২৬৫/৬ ডিক্লিয়ার (খোয়াজা ১০১*, গ্রিন ৭৪; লিচ ৪/৮৪; উড ২/৬৫ )

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস- ( স্টোকস ৬০, ক্রলি ৭৭, বেয়ারস্টো ৪১; )

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -

সর্বশেষ

- Advertisement -
- Advertisement -spot_img