লর্ডসে চতুর্থ দিন শেষে ১৫৪ রানে এগিয়ে ভারত। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান এসেছে সহ-অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানের ব্যাট থেকে। রাহানে যখন ভারতকে এগিয়ে নিচ্ছিলো দারুণভাবে, তখন বাটলারের ক্যাচে পরিণত করে তাকে প্যাভিলিয়নে ফিরান মইন আলী। এরপরে রবীন্দ্র জাদেজাকেও ফিরিয়েছেন মইন; প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ২৭ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী একটি ইনিংস।
“নিজের খেলা নিয়ে আমি বেশ খুশি। আমি কোনকিছু নিয়েই বেশি ভেবে নিজের খেলাটাকে কঠিন করতে চাইনা। আমি জানি একটা টেস্ট সিরিজে কিছু খারাপ সময় থাকবে, কিন্তু কিছু ভালো সময়ও থাকবে। আমি শুধু এই সিরিজের অংশ হয়ে ব্যাট এবং বল হাতে দলের জয়ে অবদান রাখতে চেয়েছিলাম। আমি আমার খেলাটা উপভোগ করছি, এবং খেলায় প্রতি মুহুর্তে আসা চ্যালেঞ্জগুলোও” -নিজের ব্যাটিং নিয়ে বলছিলেন মইন
চেন্নাইয়ে নিজের খেলা শেষ টেস্টে মইন উভয় ইনিংসেই আউট করেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। দুই ইনিংসে পেয়েছেন ৮টি উইকেট, সেইসাথে ৩১৭ রানের হারার ইনিংসে মইন ছিলেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। এরপরেও দলে না থাকা নিয়ে কোনো আক্ষেপ কাজ করেছে কি না এর জবাবে তিনি বলেন, “এটা পুরোনো কথা, আমি নিজেও সেই সময়টাকে পেছনে ফেলে বেশ এগিয়ে গিয়েছি। হ্যা, ভারতের মাটিতে হয়তো আমি ভালো খেলেছি, কিন্তু ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমি ভালো করতে পারিনি”
ভারতের সাথে চলমান টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে দিনের শেষ সেশনে ভয়ংকর হয়ে উঠতে শুরু করা রাহানেকে ফিরান মইন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন রাহানে। এরপর ৩ রানেই বোল্ড করে আউট করেন আগের ইনিংসে ৪০ রান করা জাদেজাকে। মইন ছাড়াও ভারতের ইনিংসে বেশ প্রভাব বিস্তার করে বোলিং করেছেন মার্ক উড। নিয়েছেন ৩টি উইকেট, ফিরিয়েছেন রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, চেতেশ্বর পুজারার মতো ব্যাটসম্যানদের।
“উডের জন্য খুব ভালো লাগছে। প্রথম ইনিংসে ও আমাকে বলছিলো, যেই উইকেটগুলা ও পেতে চায়, ওগুলা পাচ্ছে না। আমি ওকে বলছিলাম, ‘টেস্টে এরকম হয় মাঝে মাঝে। চিন্তা করিওনা, তুমি নিশ্চয়ই তাদের উইকেট পাবে’। ও দুর্দান্ত বল করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে” -উডকে নিয়ে বলছিলেন মইন
চতুর্থ দিনে বাউন্ডারী থামাতে গিয়ে কাঁধে চোট পান উড। তাকে নিয়ে দেখা দেয় সংশয়। কিন্তু মইন বলেছে উড ঠিকাছে।
সোমবার পঞ্চম দিনে ১৫৪ রানে এগিয়ে থেকে ইনিংস শুরু করবে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইশান্ত শর্মা এবং রিশভ পান্থ। দুজনেরই লক্ষ্য থাকবে লিড যত বাড়ানো যায়, অপরদিকে ইংল্যান্ড দ্রুতই তাদের প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে টার্গেটটা ছোট রাখতে চাইবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়টা যে দুদলের জন্যই ভীষণ জরুরী।