এক দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিষেক, আরেক দলের বিশ্বকাপেই অভিষেক। এই দুই দলের ম্যাচ দিয়ে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১ এরও পর্দা উঠলো। ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি- দুই দেশের জনগণের জন্য বা ক্রিকেটের সত্যিকারের অনুরাগীদের জন্য তো এই ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাপিয়ে একটি উৎসবেরই উপলক্ষ্য।
মাসকাটের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ওমানের অধিনায়ক জিসান মাকসুদ। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই পাপুয়া নিউগিনির টনি উরাকে বোল্ড করেন ওমানের বাঁহাতি পেসার বিলাল খান। পরের ওভারেই লেগা সিয়াকার মিডল স্টাম্প উড়িয়ে দেন আরেক পেসার কলিমুল্লাহ। দুই ওভার শেষে পাপুয়া নিউগিনির স্কোর হয় ০/২।
চার্লস আমিনিকে নিয়ে এরপর পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করেন অধিনায়ক আসাদ ভালা। ১১.৩ ওভার পর্যন্ত আর কোন উইকেটই হারায়নি পিএনজি; দুজনে গড়েছেন ৮১ রানের জুটি। চার্ল আমিনি ৩৭ রান করে রানআউটের শিকার হলেও বিশ্বকাপের প্রথম ফিফটিটি তুলে নেন অধিনায়ক ভালা। কলিমুল্লাহর শিকার হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস।
তবে ভালার বিদায়ের পরই আবারো ম্যাচে ফিরে আসে ওমান। অধিনায়ক জিসান মাকসুদ ১৫তম ওভারেই তুলে নেন পিএনজির তিন তিনটি উইকেট। ১১২/৪ থেকে মুহুর্তে ১১৩/৭ হয়ে যায় পিএনজি। ১৮তম ওভারে আবারো আঘাত হানেন মাকসুদ।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে পাপুয়া নিউগিনি। ওমান অধিনায়ক জিসান মাকসুদ নিয়েছেন ২০ রানে ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
পাপুয়া নিউগিনিঃ ২০ ওভার শেষে ১২৯/৯ (ভালা ৫৬, আমিনি ৩৭, সেসে বাউ ১৩; জিসান ৪/২০, বিলাল ২/১৫, কলিমুল্লাহ ২/১৯ )